১০:১০ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • দেশীয় মাছের উৎপাদন বেড়েছে নওগাঁয়
ads
প্রকাশ : অগাস্ট ২৯, ২০২১ ১০:১২ পূর্বাহ্ন
দেশীয় মাছের উৎপাদন বেড়েছে নওগাঁয়
মৎস্য

নওগাঁয় চলতি বছরে দেশীয় মাছের উৎপাদন বেড়েছে তিন হাজার মেট্রিক টন।তবে চাষকৃত মাছের দানাদার খাবারের দাম বেশি হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত লভ্যাংশ পাচ্ছেন না চাষীরা।জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, নওগাঁয় পুকুর বা দিঘি রয়েছে ৪৭ হাজার ৩২৬টি। যার আয়তন প্রায় ১২ হাজার ৮৪৯ দশমিক ৯০ হেক্টর। এছাড়া উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ চাষের আয়তন ৩৪ হাজার ৯০০ দশমিক ৮৫ হেক্টর।

এ বছর জেলায় বদ্ধ ও উন্মুক্ত জলাশয়ে ৮৩ হাজার ৬০৯ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৮০ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। অর্থ্যাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর তিন হাজার ৯ মেট্রিক টন মাছের উৎপাদন বেড়েছে। জেলায় মাছের চাহিদা রয়েছে ৬১ হাজার ২১০ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত ২২ হাজার ৩৯৯ মেট্রিক টন মাছ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।

নিচু এলাকা হিসেবে পরিচিত জেলার আত্রাই ও রানীনগর উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। এ দুই উপজেলার মৎস্যজীবীরা আত্রাই নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। এ নদীতে দেশীয় প্রজাতির শিং, মাগুর, কৈ, পুঁটি, খলিশাসহ অন্য মাছ পাওয়া যায়। দেশীয় মাছকে কেন্দ্র করে আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ স্টেশনের পাশে ভরতেঁতুলিয়া শুকটি পল্লী গড়ে ওঠেছে। এখানকার শুটকি রাজধানী ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলের রংপুর, নিলফামারী, সৈয়দপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুরসহ দেশের প্রায় ২০টি জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে।

বদলগাছী উপজেলার কাস্টোডোব গ্রামের মাছচাষী রমজান আলী বলেন, এক বিঘা পরিমান পুকুর ইজারা নিয়ে গত তিন বছর থেকে শিং ও টেংরা এবং রুই, মৃগেল ও কাতলা চাষ করছি। গত দেড় বছর আগে কোয়ালিটি ফিডের দাম ছিল প্রতিবস্তা ৯০০-১০০০ টাকা। বর্তমানে সেই ফিডের দাম বেড়ে হয়েছে ১২৮০-১৩০০ টাকা। এতে দানাদার খাবারে প্রতিমাসে প্রায় ছয়-সাত হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। মৎস্য খামারিদের বাঁচাতে দানাদার খাবারের দাম কমানোর দরকার।

একই উপজেলার কাশিমালা গ্রামের চঞ্চল হোসেন বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছের চাহিদা মিটাতে হ্যাচারী করেছি।শিং, টেংরা, পাবদা, গুচি ও পুঁটিসহ অন্য প্রজাতির রেনু সরবরাহ করি। প্রতিমাসে প্রায় ২০০-৩০০ কেজি দেশীয় মাছের রেনু বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করি।তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ করা সম্ভব হয় না।

নওগাঁ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আহম্মেদ জানান, এ বছর তিন হাজার মেট্রিক টন দেশীয় মাছের উৎপদান বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে সরকার আমদানি শুষ্ক কমিয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে মাছের খাবারের দাম কমবে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop