দেশী পাবদা মাছ চাষ করে সফল ডুমুরিয়ার বেনজির হোসেন
মৎস্য
খুলনার ডুমুরিয়া করোনা মহামারির কারনে দেশে ফিরে আসা এক যুবক, মৎস্য অধিদপ্তরের পরামর্শে, পাবদা মাছের চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। ইতোমধ্যে ২০ লক্ষাধিক টাকার মাছ বিক্রিও করেছেন তিনি। বছর শেষে ৬ মাসের সিজনে পাবদা বিক্রি কোরে, প্রায় ৫০ লাখ টাকা আয় হবে বলে মনে করছেন তিনি। ফলে অন্য চাষিরাও,পাবদা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
খুলনার ডুমুরিয়ার হাসানপুর গ্রামের বেনজির হোসেন একজন তরুন মৎস্য উদ্যোক্তা। দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকলেও, করোনা মহামারিতে দেশে ফিরে বেকার হয়ে পড়েন। সেসময় উপজেলা মৎস্য অফিসের পরামর্শে,পাবদা মাছের চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন।পরে ৫ একর জমিতে পাবদার চাষ শুরু করেন।
ইতোমধ্যে ২০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আরো প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হবে বলে মনে করছেন,বেনজির। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে চাষ করার ইচ্ছা পোষন করেন তিনি। তার এ সফলতা দেখে, স্থানীয় চাষিরাও আগ্রহী হচ্ছেন।
দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষের ওপর নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বেনজিরকে মৎস্য অফিস থেকে কারিগরী পরামর্শসহ,প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
উপকুলীয় এলাকায় দেশী প্রজাতির মাছের সম্প্রসারণ ঘটালে চাষিরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। এজন্য সরকারের সাহায্য বা প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা পেলে, পাবদাসহ দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষে আগ্রহী হবেন স্থানীয় চাষিরা।