নকলায় মৃত্তিকার সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ ও সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণের উপর কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার, জামালপুরের তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল ব্রহ্মপুত্র) কর্তৃক প্রস্তুতকৃত শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার ৮১ জন কৃষকের ফসলি জমির মাটি পরীক্ষা ও রাসায়নিক বিশ্লেষণপূর্বক সুষম সার সুপারিশ কার্ড প্রদান ও সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণ বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার, জামালপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ ড. মো: হাবিবুর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন জনাব কৃষিবিদ শাহরিয়ার মোরসলিন মেহেদী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, নকলা, শেরপুর।আরও উপস্থিত ছিলেন এমএসটিএল ব্রহ্মপুত্রের টীম মেম্বারদ্বয় জনাব কৃষিবিদ মো: মাহবুবুল আলম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক গবেষণাগার,জামালপুর ও আঞ্চলিক গবেষণাগার,ময়মনসিংহের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ মোঃ আবুল বাশারসহ অনেকেই।
বক্তারা মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাটি পরীক্ষার গুরুত্ব এবং সুষম সার ব্যবহারের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। বক্তারা বলেন মাটি পরীক্ষা করে সার প্রয়োগ করলে ফলন ২০-২৫% বাড়ে, সারের অপচয় রোধ হয়, ফলে উৎপাদন খরচ কমে এবং মাটির স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। জমিতে জৈব সারের ব্যবহার বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। উল্লেখ্য এবার খরিপ/২৪ মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা গবেষণাগারের মাধ্যমে টাঙ্গাইল, শেরপুর, জামালপুর জেলার ৫টি উপজেলায় কৃষকের মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ ও কার্ড ব্যবহার নিয়মাবলী এবং ভেজাল সার সনাক্তকরণের উপর কৃষক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কৃষকের দোরগোড়ায় মৃত্তিকার সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চলমান এই কর্মসূচিকে কৃষক কৃষাণী এবং উপজেলা কৃষি অফিসার মহোদয় স্বাগত জানান এবং আগামীতে এই সেবা আরও বেশি বেগবান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সুবিধাভোগীরা।
বেশি বেশি মাটি পরীক্ষা করি
সার সুপারিশ কার্ড গ্রহণ করি,
সুষম সার ব্যবহার করে
সারের অপচয় রোধ করি।