নতুন জাতের মিষ্টি আলু যাবে জাপানে
এগ্রিবিজনেস
মিষ্টি আলুকে একসময় বলা হতো গরিবের ক্ষুদা নিবারণের খাদ্য। তবে এটি এখন কেবল গরিবের ক্ষুদা নিবারণ না, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন গরিবের খাদ্য মিষ্টি আলু এখন সুদূর জাপানেও রপ্তানি করা হচ্ছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নতুন জাতের রপ্তানিযোগ্য মিষ্টি আলু চাষ।
স্থানীয় জাতগুলোর চেয়ে নতুন জাতের এ মিষ্টিআলুর ফলন অনেক বেশি, আকারে বড় এবং খেতেও বেশ সুস্বাদু। রং লাল হওয়ায় দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। উপজেলার বাঙ্গালী নদীর তীরবর্তী রাখালবুরুজ, হরিরামপুর ও তালুককানুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার চরের পলিযুক্ত বালিময় মাটিতে দীর্ঘদিন ধরে মিষ্টিআলু চাষ করছেন কৃষকরা। তবে এবার প্রথম বারের মতো বিদেশে রপ্তানিযোগ্য নতুন কোকি ১৪ জিও জাতের মিষ্টিআলু চাষ করেছেন।
রাখালবুরুজ ইউনিয়নের পাড় সোনাইডাঙ্গা গ্রামের বিপুল মিয়া জানান, কোকি ১৪ জিও জাতের মিষ্টিআলু চাষে দেশীয় জাতের মতোই একই সময় লাগে। এ আলু বিঘাপ্রতি ৮০ থেকে ৮৫ মণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে। দামও ভালো।
একই এলাকার আব্দুল আজিজ জানান, কোকি ১৪ জিও জাতের আলুর চাষ থেকে শুরু করে বাজারজাত পর্যন্ত উপজেলা কৃষি বিভাগের তদারকি থাকায় কোনো হয়রানি ছাড়াই আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছি। তাছাড়া আমার জমির উৎপাদিত আলু জাপান যাচ্ছে ভাবতেই ভালো লাগছে।
নারিতো জাপান কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজার মেজবাউল ইসলাম জানান, উৎপাদিত মিষ্টি আলু বিদেশে রপ্তানিযোগ্য করতে সঠিক পদ্ধতি ও কলাকৌশল বাস্তবায়নে উপজেলা কৃষি বিভাগের মাধ্যমে চাষিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। রপ্তানিযোগ্য এই আলু কৃষকের জমি থেকে সাড়ে ৪০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা মণ দরে কিনে নেওয়া হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খালেদুর রহমান জানান, নতুন জাতের এ মিষ্টি আলুর আবাদ সম্প্রসারণে কৃষক পর্যায়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। কৃষকরা মিষ্টি আলুর হেক্টরপ্রতি ফলন পাচ্ছেন ২০ মেট্রিক টন। এ বছর উপজেলায় ৮৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। সরকারিভাবে এবারই প্রথম কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯ একর জমিতে কোকি ১৪ জিও মিষ্টি আলু চাষ এবং তা জাপানে রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।