নিষেধাজ্ঞা শেষে শুরু হচ্ছে সুন্দরবনে মাছ ধরা
মৎস্য
প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে গত ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে ৩ মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় শরণখোলার প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার জেলে পরিবার নিদারুণ অর্থ কষ্টে পড়ে অনেক দেনায় জড়িয়েছে। এতে চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে জেলে পবিবারগুলো। এদিকে ৩ মাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে মাছ ধরার অনুমতি পেয়ে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল হাজার হাজার জেলে পরিবারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।
পূর্ব বন বিভাগ ও জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, বনভূমির অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ ৫১ শতাংশ বনই হচ্ছে সুন্দরবন। প্রায় ৬ হাজার ১১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই সুন্দরবনে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫০টি নদী-খাল রয়েছে। রয়েছে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুরসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী।
নদ-নদীতে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় তালিকায় থাকা ইরাবতীসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন, কুমির ও ২১০ প্রজাতির মাছ। বনাঞ্চলের এ জলাভূমির মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষিত ৩০টি খাল এবং ২৫ ফুটের কম প্রশস্ত খালে সারা বছরই মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। আর বাকি অংশের নদী-খাল ও জলাভূমিতে বনবিভাগ থেকে পাশ-পারমিটধারী জেলেরা মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় বনবিভাগ প্রজনন মৌসুম দুই মাসকে পরিবর্তন করে তিন মাস মাছ ধরা বন্ধের যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে তাতে আমি স্বাগত জানাই।
এ উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করার জন্য বনবিভাগের নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে জেলে সেজে বনের গহীনে গিয়ে বিষ প্রয়োগ করতে না পারে।