নীলফামারীতে কম সময়ে উচ্চ ফলনশীল বীনা-১৭ জাত ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ
নীলফামারীতে কম সময়ে উচ্চ ফলনশীল বীনা ১৭ জাত ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের আরাজি চড়াইখোলা গ্রামে ওই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এ এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন বিনা ধান ১৭ রংপুর উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আলী, কৃষক পিয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
কৃষক পিয়ারুল ইসলাম জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল আগাম জাতের বিনা ধান ১৭ আবাদ করে স্বল্প সময়ে কর্তন করতে পারছেন। আগাম কর্তন করা ওই জমিতে আগাম আলু কিংবা সরিষা চাষ করবেন। এতে করে বছরে জমিতে অন্তত তিনটি ফসল ফলানো সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘রোপা আমনের অন্যান্য জাতের ধান কর্তন করতে এখোনো এক মাস সময় বাকি অথচ বীনা ধান রোপনের ৮৫ দিনের মধ্যে কর্তন করা সম্ভব হচ্ছে’।
সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বীনা ধান-১৭ বিশেষ একটি জাতের। কৃষকরা লাভবান হবেন। খরচ কম, ফলন বেশি এবং সময়ও কম লাগছে। কৃষকদের এই জাতের ধান আবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করছি আমরা কৃষি বিভাগের সহায়তায়’।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ জানান, এই জাতের ধান আবাদে আমরা কৃষকদের উৎসাহ দিয়েছি। আরাজি চড়াইখোলা গ্রামে পাঁচ জন কৃষক ১৫০শতাংশ জমিতে এই জাতের ধান আবাদ করেছেন।
কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই জাতের ধান উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্পজীবনকালীন। পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট রংপুর উপকেন্দ্রের উদ্যোগে এবং কৃষি বিভাগ নীলফামারীর সহযোগীতায় মাঠ পর্যায়ে প্রদর্শণী প্লট করা হয়েছে। এ জাতের ধান ১১২ থেকে ১১৮ দিনের মধ্যে কর্তন করা যায়। হেক্টরপ্রতি ফলন হয় ৬ দশমিক ৮ থেকে ৭ দশমিক ৫ টন পর্যন্ত’।