৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • পদ্মায় জাটকা নিধন, বিক্রি হচ্ছে হাটবাজারে
ads
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১, ২০২২ ২:৩৩ অপরাহ্ন
পদ্মায় জাটকা নিধন, বিক্রি হচ্ছে হাটবাজারে
মৎস্য

ভেদরগঞ্জে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। নিষেধাজ্ঞার সময়ে ১ নভেম্বর থেকে পরবর্তী আট মাস ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটার আকারের জাটকা আহরণ, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত করা নিষিদ্ধ হলেও ভেদরগঞ্জে প্রায় মাছের সব আড়ত এবং হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের নিয়মিত অভিযান এবং তদারকি না থাকায় প্রকাশ্যে বাজারে জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি সচেতন মহলের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা নদীর তীরে দুর্গম এলাকায় অস্থায়ী আড়ত বসিয়ে প্রকাশ্যেই বেচাকেনা করা হচ্ছে জাটকা। এসব জাটকা আবার মজুত করা হচ্ছে নদীর পাড়ের মাছঘাটগুলোতে। হাঁকডাক দিয়ে প্রকাশ্যেই চলছে জাটকা বেচাকেনা। অসময়ে ধরা পড়া এসব জাটকা বিক্রি হচ্ছে নামমাত্র মূল্যে। প্রতি হালি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকায়। এরপরও প্রশাসনের নজরদারি শুধু কাগজে-কলমে থাকায় হতাশ সচেতন মানুষ।

নড়িয়া উপজেলার ওয়াপদা থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাবনিয়া পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকা জাটকার অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। জাটকার অভয়াশ্রমে এ সময় জাল ফেলা নিষেধ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নড়িয়া উপজেলার ওয়াপদা, চণ্ডীপুর, সুরেশ্বর, বীরমইশাল, চরমোহন, মনিরাবাদ, ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা, চরভাঘা, গৌরঙ্গবাজার, দুলারচর ও স্টেশন বাজার এলাকায় অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। যার অধিকাংশই জাটকা। এসব জাটকা বিক্রির জন্য নৌপথে ট্রলারযোগে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে নেওয়া হচ্ছে।

নড়িয়ার চরমোহন গ্রামের জেলে আবুল হাসেম বলেন, নদীতে মাছ শিকার করা ছাড়া আমাদের আর কোনো পেশা নেই। মাছ শিকার করে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে হয়। তাই নিষেধাজ্ঞার সময়ও আমাদের জাল নিয়ে নদীতে নামতে হয়।

ভেদরগঞ্জের দুলারচর গ্রামের জেলে খবির উদ্দিন বলেন, বছরের অধিকাংশ সময় নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকে। বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা না থাকাতে আমরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করছি।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, জাটকা শিকার ও বিক্রি বন্ধের জন্য নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতিদিনই জেলেদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তারপরও জাটকা শিকার বন্ধ করা যাচ্ছে না।

শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার বলেন, নদীতে ছোট ইলিশ ধরা এবং বিক্রি বন্ধ করতে সরকার নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সব ধরনের কারেন্ট জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অসাধু জাটকা ইলিশ ব্যবসায়ী এবং শিকারি জেলেদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop