পাঙাশ চাষ করে স্বাবলম্বী গ্রামের দুই শতাধিক চাষি
মৎস্য
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের আটিয়া গ্রামে যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই পাঙাশ মাছের পুকুর। গ্রামটির ঘরে-ঘরে এখন পাঙাশ চাষি। এ মাছ চাষে গ্রামটির দুই শতাধিক চাষি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
জানা গেছে, আটিয়া গ্রামে ১৯৯৪ সালে আসাদুজ্জামান আসাদ নামের এক ব্যক্তি প্রথম পাঙাশ মাছ চাষ শুরু করেছিলেন। আসাদের সফলতায় উৎসাহিত হয়ে গ্রামটির ঘরে-ঘরে তৈরি হয়েছে পাঙাশ চাষি। এই গ্রামে বর্তমানে দেড় শতাধিক পুকুরে পাঙাশ চাষ হচ্ছে। পোনা মজুত, চাষ, মাছ ধরা, এমনকি বাজারে বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাঙাশ চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এক হাজার পাঙাশ চাষ করে বছরে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করছেন চাষিরা। এসব চাষিরা বদলে দিয়েছেন গ্রামের অর্থনৈতিক চাকা। মাছের বর্তমান পাইকারি বিক্রয় মূল্য প্রতি মণ চার থেকে চার হাজার ২০০ টাকা।
তবে চাষিদের অভিযোগ, খাবারের দাম দফায়-দফায় বেড়ে দ্বিগুণ হলেও মাছের পাইকারি দাম কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১০৫ টাকার মধ্যেই থাকছে। সম্প্রতি চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। খাবারের দাম না কমলে অনেকেই পাঙাশ চাষ ছেড়ে দেবেন।
গ্রামের প্রথম পাঙাশ চাষি আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রামটিতে আমি প্রথমে একটি পুকুরে পাঙাশ চাষ শুরু করি। এখন আমার চারটি পুকুর রয়েছে। দুটিতে ৩০ হাজার পাঙাশ চাষ করছি। বাকি দুইটি পুকুরে পাঙাশের পোনা মজুত রেখেছি। গ্রামে এখন দেড় শতাধিক পুকুরে পাঙাশ চাষ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে খাবারের দাম দ্বিগুণ। ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মূল্যের খাবারের বস্তা হয়েছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা। মাছের দাম আগের মতোই রয়েছে। পাঙাশ চাষে দুবার সেরা চাষির পুরস্কার পেলেও বর্তমানে হতাশায় আছি। খাবারের দাম কমানোর দাবি জানাচ্ছি।
দেলদুয়ার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন, আটিয়া গ্রামে পাঙাশ চাষে বেশ সফলতা এসেছে। অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা মাছ চাষিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।