প্রতিকূল আবহাওয়ার পরও ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে
কৃষি বিভাগ
রংপুরে বেড়েছে ফসলের নিবিড়তা। প্রতিকূল আবহাওয়া গেলেও এবার ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দেড় লাখ মেট্রিক টন বেশি হয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উৎপাদন ব্যয় যেমন কমেছে, তেমনি কমেছে ইঁদুরে কাটা ও মাড়াইয়ের সময় ধানের অপচয়। এ অবস্থায় দাম ভালো থাকায় লাভের আশা করছে কৃষক।
রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় এবার ৬ লাখ ১৪ হাজার ২৯৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল ১৭ লাখ ১৯ হাজার ২৩১ মেট্রিক টন। মাঝপথে উৎকন্ঠায় ফেলে অসময়ের বন্যা আর ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। তারপরও কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মোট জমিতে প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন বেশি হয়েছে।
কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের ফলে কমেছে চাষের ব্যয়। রোধ হয়েছে ইঁদুরে কাটা ও মাড়াইয়ের সময় ধানের অপচয়। ২৩৬ শতাংশ থেকে ফসলের নিবিড়তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪০ শতাংশে।
কৃষি বিভাগের দাবি, একই জমিতে বিভিন্ন ফসলের চাষ ও সাথী ফসলের কারণে নিবিড়তা বাড়ছে।
রংপুর অঞ্চল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানান, দ্রুত ফুল এসে গেছে, আলাদা করে কোন পানি দিতে হয়নি। অনেক সময় আমন ধানে সেচের সংকট হয়, সেই সংকটটাও আমরা পাইনি। কারেন্ট পোকা এবার একেবারে নাই বৃষ্টির কারণে। বৃষ্টির কারণে ইঁদুরও কম।
চলতি আমন মৌসুমে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী ও গাইবান্ধা নিয়ে গঠিত রংপুর কৃষি অঞ্চল থেকে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার আমন ধান পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।