বগুড়ার বিষমুক্ত শিমের ক্ষেতে কৃষি বিজ্ঞানীরা
কৃষি গবেষনা
বিষাক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বদলে নির্বিষ জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তির মাধ্যমে শিম উৎপাদন ব্যবস্থাপনা দেখতে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বড় ও ছোট ফুলবাড়ীর শিমের ক্ষেত পরিদর্শন করলেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে বগুড়ার সবজি পল্লী খ্যাত শেরপুর উপজেলার বড় ফুলবাড়ীর শিমের ক্ষেতে উপস্থিত হয়ে সরাসরি কথা বলেন শিম ও সবজি চাষিদের সাথে। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের চাষিদের আগ্রহ, সমস্যা ও আগামী সম্ভাবনা নিয়ে তাদের চিন্তা ভাবনার কথা শোনেন। পরে মাঠ দিবস উপলক্ষে চাষি সমাবেশ করলেন তারা কথা বলেন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কীটতত্ত্ববিদ ড. নির্মল কুমার দত্ত্ব। প্রধান অতিথি ছিলেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও জাতীয় মসলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ ড. মাজহারুল আনোয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা যথাক্রমে ড. মো. সুলতান আহম্মেদ, ড.একেএম জিয়াউর রহমান ও জুলফিকার হায়দার প্রধান।
সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা বলেন, খাদ্যশস্য ও সবজি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার প্রেক্ষাপটে দেশে এখন মানবদেহের জন্য নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকারের দিক নির্দেশনায় তারা মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তারা কাজ করছেন কিভাবে কম খরচে বিষমুক্ত সবজির উৎপাদন করা যায়। বগুড়ার বড় ও ছোট ফুলবাড়ীর চাষিদের নিয়ে তাই শিম চাষের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটা সফল হলে আগামীতে পটলসহ অন্যান্য সবজি উৎপাদনের পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তারা চাষিদের আশ্বস্ত করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শাকসবজি, ফল ও পান ফসলের পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের অর্থায়নে বগুড়ায় চলমান শিম চাষ প্রকল্পে দুটি সবজি পল্লীর চাষিরা যে সফলতা দেখিয়েছে সেটা উৎসাহজনক বলে মন্তব্য করেন পরিদর্শকদলের কৃষি গবেষক এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।