বশেমুরকৃবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত
ক্যাম্পাস
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালোব্যাজ ধারণ করা হয়।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার নেতৃত্বে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি শোক র্যালী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনা ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া, মুখ্য আলোচক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বর্তমান ইউজিসি প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মান্নান আকন্দ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ আরিফুর রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ সিরাজুল ইসলাম তালুকদার।
বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো. ফারুক হোসেন মোল্লা, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম মন্ডল বক্তৃতা করেন। ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁর বক্তৃতায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না, তিনি মানুষ হিসেবে ছিলেন সকল গুণের অধিকারী। তিনি কৃষিশিক্ষা, কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণের গোড়াপত্তন করেন। তিনি আরো বলেন, আমরা কথা ও পোষাকে নয় কাজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবো।