১২:৪৯ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • বাংলাদেশে নারীদের জলবায়ু সহনশীল জলজ খাদ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কর্মশালা ঢাকায় অনুষ্ঠিত
ads
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৪ ২:০৯ অপরাহ্ন
বাংলাদেশে নারীদের জলবায়ু সহনশীল জলজ খাদ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কর্মশালা ঢাকায় অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ বাংলাদেশে কম বয়সী নারী ও বালিকাদের স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য জলবায়ু-সহনশীল জলজ খাদ্য ব্যবস্থা’ (অ্যাকোয়াফুড) শীর্ষক প্রকল্পের স্টেকহোল্ডার মত বিনিময় এবং উদ্বোধনী কর্মশালা রবিবার ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার গুলশানে অবস্থিত হোটেল লেক ক্যাসেলে
এই স্টেকহোল্ডার উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব মোঃ আব্দুর রহমান এমপি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিরেক্টর ফর নিউট্রিশন, সিজিআইএআর ড. শকুন্তলা থিলস্টেড। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ দিদার-উল-আলম।


কর্মশালায় বিদেশী অতিথি, ড. নান্না রুস, অ্যাকুয়াফুড প্রকল্পের প্রধান গবেষক এবং সমন্বয়কারী, প্রফেসর ড. ডেভিড লিটিল, ইউনিভার্সিটি অফ স্টার্লিং, যুক্তরাজ্য, প্রফেসর ড. বাউকি ডি রুস, ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাবারডিন, যুক্তরাজ্য; বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দ, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উন্নয়ন বিশেষজ্ঞগণ, উদ্যোক্তাবৃন্দ, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের শিক্ষক এবং একোয়াফুড প্রজেক্ট এর বাকৃবি পার্টের পিআই প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক ।বক্তব্য রাখেন একোয়াফুড প্রজেক্ট এর বাকৃবি একোয়াকালচার বিভাগের কো-পিআই প্রফেসর ড. এম. এ. সালাম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পার্টের পিআই প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ-আল মামুন, আইসিডিডিআরবির পার্টের পিআই ড. গুলশান আরা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব মোঃ আব্দুর রহমান এমপি বলেন , জলজ খাবার বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং অর্থনীতি উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে, একোয়াকালচারে ৫ম এবং সামুদ্রিক মৎস্য উৎপাদনে ১১তম স্থান অর্জন করেছে। এ কারণে আমরা মৎস্য খাতকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে আমরা গুরুত্ব দিয়ে আসছি।বাকৃবি ভিসি বলেন ,প্রকল্পের মাধ্যমে ইন্টারডিসিপ্লিনারি গবেষণার মাধ্যমে তথ্য ও জ্ঞানের ঘাটতিগুলো পূরণ করবে। স্টেকহোল্ডার এবং নীতিনির্ধারকদের অবগত করার জন্য আরও নতুন জ্ঞান তৈরি করবে। চিংড়ি এবং চিংড়ির মতো মূল্যবান প্রজাতিগুলি মূলত রপ্তানির জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে ঘেরে চাষ করা হয়। মজার বিষয় হল, এই উচ্চ-মূল্যের সীফুড আইটেমগুলো অভ্যন্তরীণ বাজার এবং স্থানীয় ব্যবহারের জন্য মাছের মিশ্রচাষ পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের শিক্ষক এবং একোয়াফুড প্রজেক্ট এর বাকৃবি পার্টের পিআই প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন , বাংলাদেশে মৎস্য খাতে তিনটি মূল উপাদান রয়েছে, যেমন: অভ্যন্তরীণ ক্যাপচার ফিশারিজ, একোয়াকালচার এবং সামুদ্রিক ক্যাপচার ফিশারিজ। ২০২১-২২ অর্থবছরে সমগ্র মৎস্য খাত থেকে মোট মাছের উৎপাদন ৪.৭৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন ছুঁয়েছে, যা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৪.৫৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন উৎপাদনের ভিশন ২০২১ লক্ষ্যকে অতিক্রম করেছে। অধিকন্তু, একাধিক উন্নয়ন উদ্যোগ চলমান রয়েছে, যার লক্ষ্য ২০৩১ সালের মধ্যে ৬.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৮.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা। মৎস্য খাত জাতীয় জিডিপিতে ২.০৮% এবং কৃষি জিডিপিতে প্রায় ২১.৮৩% অবদান রাখে। গত এক দশকে গড় বৃদ্ধির হার ৫.৪৩%।

একোয়াফুড প্রকল্প যে বিষয়টিকে গুরুত্ত্ব দিয়েছে তা হলো জলজ খাবার বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং অর্থনীতি উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের সমৃদ্ধ উপকূলীয় এবং নদীমাতৃক ইকোসিস্টেম ঐতিহ্যগতভাবে মৎস্য আহরণের ব্যাপক সূযোগ করে দিয়েছে, এবং মৎস্য চাষকে দ্রুত সম্প্রসারনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।।তিনি আরও বলেন, দারিদ্র্য, সামাজিক পক্ষপাত, বাল্যবিবাহ এবং কম বয়সে গর্ভাবস্থার সম্মুখীন কিশোরী ও যুবতীরা বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কার্যকর স্থানীয় পদক্ষেপ এবং নীতি বাস্তবায়নের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জলজ খাদ্য উৎপাদন, পুষ্টি এবং জনস্বাস্থ্যের মধ্যে খাতগত বৈষম্য সমন্বিত নীতিমালাগুলো বাস্তবায়নে আরও বাধা দেয়, যা জলবায়ু পরিবর্তনের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনাকে সীমিত করে তোলে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং আইসিডিডিআরবির যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ড্যানিডা অর্থায়ন করেছে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop