১২:২৬ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • বাকৃবিতে বাংলাদেশ ফিশারিজ সোসাইটির দ্বিবার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
ads
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২৪ ৭:৫১ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে বাংলাদেশ ফিশারিজ সোসাইটির দ্বিবার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
মৎস্য

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ ফিশারিজ সোসাইটি অফ বাংলাদেশ এর আয়োজনে সোসাইটির ৩য় দ্বিবার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১৭ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন হলে শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোঃ খুরশেদ আলম, বিএন।

প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বাংলাদেশ ফিশারিজ সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ সামছুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি’র সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ.কে.এম. নওশাদ আলম, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক ড.নাথুরাম সরকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফিশারিজ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ সাদিকুল ইসলাম।সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন অধ্যাপক ড হারুন অর রশীদ। বক্তব্য রাখেন ডিপার্টমেন্ট অব ফিসারিজের (ডিওএফ) উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মাৎস গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) পরিচালক ড. মোহসেনা বেগম তনু।

সম্মেলনে বক্তারা বাংলাদেশে মৎস্য খাতের অবদান, মৎস্য গবেষণার সফলতা, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা, মাছের ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট, মুক্তাচাষ স¤প্রসারণ এবং জীবন্ত জীন ব্যাংক প্রতিষ্ঠাসহ নানান বিষয় তুলে ধরেন।
এছাড়াও এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনায় বলা হয় যে, এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ৮৩টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। যার মধ্যে ৭১ টি মাছের প্রজনন ও জিন পোল সংরক্ষণের জন্য এবং ১২ টি মুক্ত জলাশয়ে মাছের ব্যবস্থাপনার জন্য। যা দেশে মৎস্য উৎপাদনে বিরাট ভূমিকা রেখে চলেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নিরাপদ মৎস্য উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো নিয়ে এসময় আরোও আলোচনা করা হয়।

বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করা এখন সময়ের একটা দাবি। যার গুরুত্ব আমাদের সংবিধানেও দেওয়া আছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু পুষ্টির প্রাপ্যতা ২২৫০ কিলো ক্যালোরি। কিন্তু এই পুষ্টির ৭০ ভাগ আসে উদ্ভিজ্জ উপাদান বা কার্বোহাইড্রেট থেকে। একইভাবে বাংলাদেশের মানুষের প্রোটিন প্রাপ্ততার হার মাথাপিছু ৬৬ গ্রাম। এই প্রোটিনেরও ৭০ ভাগ আসে উদ্ভিজ্জ উপাদান থেকে। সে ক্ষেত্রে প্রাণিজ প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করার ক্ষেত্রে মাৎস্য সেক্টর একটি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপাদান গুলো ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে তাহলে শ্রম ও কম জনবলে দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট তৈরীর সাথে সাথে স্মার্ট কৃষক তৈরি করতে হবে যাতে তারা স্মার্ট প্রযুক্তি গুলো ব্যবহার করতে সক্ষম হয়। স্মার্ট এগ্রিকালচার নিশ্চিত করতে না পারলে দেশ ভঙ্গুর হয়ে যাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে যুগান্তকারী সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলের মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং বৈশ্বিক জলজ চাষ উৎপাদনে ৫ম স্থানে রয়েছে। অ্যাকুয়াকালচার চাষ থেকে বাংলাদেশের ৪৭% মাছ  উৎপাদন করা হয়। একটি মাছের সকল অংশ ব্যবহার যোগ্য। বর্তমানে সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও মাছ থেকে ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ব্যাথানাশকের মত ঔষুধ উৎপাদন করা হচ্ছে। অনেক মাছের চামড়া থেকে দামি জ্যাকেট উৎপাদন করা হচ্ছে। সামুদ্রিক উদ্ভিদ ব্যবহার করে হালাল খাবার ও জেলাটিন উৎপাদন নিশ্চিত করার ব্যাপারেও ব্যাপক গবেষণা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সমুদ্রের সম্পদকে রক্ষা করতে হলে সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ কমাতে হবে। লিপস্টিক, ফাউন্ডেশনে এবং অন্যান্য বর্জ্যে উপস্থিত মাইক্রো প্লাস্টিক সমুদ্র দূষিত করার ফলে মাছ মারা যায়। কারণ মাছ এইগুলো হজম করতে পারে না। তাই সমুদ্রে দূষণ কমাতে হবে।

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্য চাষকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বঙ্গোপসাগরে আমাদের জীবন্ত সম্পদের বিশাল বৈচিত্র্য রয়েছে। এটি ইকনোমিক সম্ভাবনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সুযোগকে প্রসারিত করবে। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে  বিভিন্ন কারিগরি সেশনে গবেষণা নিবন্ধের  ১৭০ টি  ওরাল এবং ৭০ টি পোস্টার উপস্থাপন করা হবে।

সম্মেলনে ফিশারিজ সোসাইটি অফ বাংলাদেশ এর সদস্যগণ ছাড়াও দেশি-বিদেশি মৎস্য বিজ্ঞানী আমন্ত্রিত অতিথিগণ অংশ নেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop