বাকৃবিতে মরহুম জাতীয় অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আমীনুল হক ‘স্মারকগ্রন্থ’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস
কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: মরহুম জাতীয় অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আমীনুল হক ‘স্মারকগ্রন্থ’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল। মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে ২০ জুন মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদীয় ডিন অফিস সভাকক্ষে স্মারকগ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেমর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল। আলোচক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, বাকৃবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সাবেক পরিচালক জিটিআই প্রফেসর ড. এম. এ. হালিম,ডা. নাজিয়া আমিন সালসাবিল, প্রফেসর ফাতেমা হক শিখা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মরহুম জাতীয় অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আমীনুল হক এত বড় মাপের মানুষ যে তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে এত ছোট্ট পরিসরে কিছুই লেখা সম্ভব নয়। তারপরও ৩৩জন গুণী মানুষ তাদের লেখায় চেষ্টা করেছেন মরহুম জাতীয় অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আমীনুল হক এর বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে তুলে আনতে। অনেকের লেখায় তাঁর অত্যন্ত উচু মানের ব্যক্তিজীবন ওঠে এসেছে।
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর বলেন, যার হাত ধরে দেশে মাৎস্যবিজ্ঞানের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা শুরু হয়েছিল তিনি হচ্ছেন অধ্যাপক ড. এ কে এম আমিনুল হক। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, জাতীয় অধ্যাপক এবং মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন।
উল্লেখ্য অধ্যাপক ড. এ কে এম আমিনুল হক একজন শিক্ষাবিদ ও সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ছিলেন। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৫২ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, লাহোর থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। ১৯৫৭ সালে নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাকৃবির উপাচার্য হিসাবে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ পর পর দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বাকৃবিতে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ প্রতিষ্ঠা করেন। এজন্য তিনি ফাদার অব ফিশারিজ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বাংলাদেশ সরকার কতৃক ২০০৬ সালে পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় অধ্যাপক নিযুক্ত হন। তিনি শাহাবুদ্দিন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রীর পদমর্যাদার একজন প্রাক্তন উপদেষ্টা। ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির নির্বাচিত সহযোগী। ২০০৮-২০১২ ইনস্টিটিউটটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে মৎস্য বিভাগের সামুদ্রিক পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।