বান্দরবানে জনপ্রিয় হচ্ছে ‘ক্যারাগুলা’
এগ্রিবিজনেস
ক্যারাগুলা পাহাড়ের একটি অপরিচিত ছোট ফলের নাম। গত কয়েক বছর ধরে এ ফলটি পাহাড়িসহ সবার কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটি বান্দরবানের পাহাড়ে বেশি হয়। পর্যটকদের কাছেও ধীরে ধীরে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
অনেকেই স্থানীয়ভাবে এটিকে বান্দরগুলা ফল বলে। ফলটি হালকা পাতা রঙের। পুরো ফলের চতুর্দিকে ছোট ছোট কাটায় আবৃত। পাহাড়িরা এই ফলটি শুঁটকি মাছ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ভর্তা করে খায়। বিভিন্ন তরকারি ও সালাদের কাজেও এটি ব্যবহৃত হয়। এটি খেতে বেশ সুস্বাদু। রয়েছে ভিটামিন সি। অনেকেই আবার ফলটি কাঁচাও খায়। কাঁচা খাওয়ার শুরুতেই কামড় দিলে হালকা তিতা ও টক অনুভূত হয়।
নোয়াপতং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ক্যনুপ্র‚ মারমা বলেন, ক্যারাগুলা ফলটি পাহাড়ের জুম চাষে স্বাভাবিকভাবেই হয়ে থাকে। একবার গাছ উঠলে দ্বিতীয়বার গাছ লাগাতে হয় না। ফল পাকার পর বীজ থেকে গাছের চারা হয়ে থাকে। প্রতি বছর জুম ফসল রোপণ করলেও ক্যারাগুলা রোপণ করতে হয় না। বাজারে এই ফলের বীজ পাওয়া যায় না।
তিন পার্বত্য জেলার পাহাড়গুলোতে এই ফল বেশি উৎপাদিত হয়। পাহাড়িদের ‘লাকচু’ নামের এক বিশেষ খাবারে ক্যারাগুলা বেশি ব্যবহূত হয়। বিভিন্ন প্রকার চাটনিতে এটি বেশি ব্যবহার করা হয়।
বান্দরবান বাজারের উবাচিং মারমা ও লংকা ত্রিপুরা জানান, ক্যারাগুলা খুব সুস্বাদু ফল। বিভিন্নভাবে এটি রান্না করে খাওয়া যায়। অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক ঘুরতে এসে কিনে নিয়ে যান।
বান্দরবান জেলা সদর ও উপজেলাগুলোর পাহাড়ি রেস্টুরেন্টগুলোতে বিভিন্ন তরকারি, সালাদ ও চাটনিতে ক্যারাগুলা ব্যবহার করা হয়।
বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, ক্যারাগুলা ফলের বাণিজ্যিক কোনো চাষ হয় না। এটি বিভিন্ন পাহাড়ে বিক্ষিপ্তভাবে উৎপাদিত হয়। এই ফলটি আমরা দেখে থাকলেও এটির স্থায়ীভাবে বীজ কিংবা চাষ হয়নি, বিধায় সংরক্ষণ করা হয়নি। পাহাড়ের কী পরিমাণ জায়গায় এই ফল উৎপাদিত হয় তা তার জানা নেই। তবে এটি ভিটামিন সি যুক্ত ফল। এটি পাহাড়িরা বেশি খায়। বর্তমানে এই ফলটি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হয়।