ভেজাল কীটনাশকে পোকার উপদ্রবে অতিষ্ঠ চাষিরা
কৃষি বিভাগ
শীতকালীন সবজিতে পোকার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না নওগাঁর চাষিরা। তাদের অভিযোগ, ক্ষতিকর পোকামাকড় নিধনে আশপাশে গড়ে উঠেছে কীটনাশকের দোকান। এসব দোকানের ভেজাল কীটনাশক ব্যবহার করে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন চাষিরা।
নওগাঁর বর্ষাইল এলাকার মাঠজুড়ে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ ক্ষেতে শীতকালীন সবজির মহাসমারোহ। প্রায় দেড় মাস নিবিড় পরিচর্যায় মাঠের চার পাশের এসব ক্ষেত সতেজ ফুলে ভরে উঠেছে। হেমন্তের মৃদু বাতাসে শিমের ডগায় লাল সাদা ফুল দৃষ্টিনন্দন শোভা ছড়াচ্ছে। তবে ফসলের ওপরের সৌন্দর্য আলো ছড়ালেও ফলনে নানা রোগবালাইয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা।
চাষিরা জানান, বাজারে সবজির যে দাম আছে, এই দাম থাকলে আমরা কিছুটা লাভবান হয়। অন্য এক চাষি বলেন, আমরা বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করি। এতে করেও আমাদের কোনো লাভ হচ্ছে না। সবজিতে পোকার উপদ্রবে আমরা অতিষ্ঠ। এ ছাড়া কীটনাশকের দামের তুলনায় সবজির দামও পাচ্ছি না বলে অভিযোগ করেন চাষিরা।
বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠা সবজি ক্ষেত টার্গেট করে এলাকায় গড়ে উঠেছে কীটনাশকের ছোট বড় কয়েকশ’ দোকান। চাষিরা এসব দোকান থেকে বাকিতে কীটনাশক কিনে সবজিতে প্রয়োগ করে প্রতারিত হচ্ছেন হরহামেশা। ভেজাল ওষুধে কাজ না হওয়ায় কৃষকের তোপের মুখে পড়ার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।
সার ব্যবসায়ী মো. জিয়াউল হাসান বলেন, আমরা চাষিদের বিভিন্ন কোম্পানির যে ওষুধগুলো দিচ্ছি তা অনেক সময় কাজ করে আবার অনেক সময় কাজ করছে না। এতে আমরা ব্যবসায়ীরা তোপের মুখে পড়ছি।
এ অবস্থায় ফসলে অধিক কীটনাশক প্রয়োগ না করে বালাই মোকাবিলায় কৃষি বিভাগের পরামর্শ গ্রহণের পরামর্শ দেন নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সামসুল ওয়াদুদ।
কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৯১ হাজার হেক্টর জমিতে রবি ফসল চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সবজি চাষ করা হয়েছে ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে।