মধুখালীর রায়পুর ইউনিয়নে গরু চুরির হিড়িক
প্রাণিসম্পদ
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে গরু চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। প্রায় প্রতিদিন গরু চুরি কিংবা চুরির চেষ্টা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত চোরদের ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা ছাড়া এলাকাবাসী ও পুলিশ কোনো গরুচোরকে ধরতে পারেনি।
রায়পুর ইউনিয়নের লক্ষ্মী নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা জিন্নাত আলী খান জানান, গত এক সপ্তাহে তার নিজের দুটি এবং তার চাচা আবু বক্করের একটিসহ মোট তিনটি গরু চুরি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ইউনিয়নের লক্ষ্মী নারায়ণপুর ও শ্রীরামপুর গ্রামে এ চুরির ঘটনা ঘটছে সবচেয়ে বেশী।
গ্রামের বাসিন্দা কলেজ শিক্ষার্থী আজম খান বলেন, গত প্রায় তিন মাসের মধ্যে ওই দুটি গ্রাম থেকে মো. হাসমত মোল্লা ও মো. নিয়ামতের ৫টি করে ১০টি সহ অন্তত ১২ জন গৃহস্থের ২৮টি গরুর চুরি হয়েছে। চুরি হওয়ার গরুর বেশির ভাগই গাভী। এ চুরির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অন্তত ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, গরু চুরির ভয়ে ওই গ্রামের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিশেষত মধুখালী-গোপালদী আঞ্চলিক সড়ক পথে ট্রাক নিয়ে এসে গরুগুলি চুরি করে পালিয়ে যায় চোরের দল। গত বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মধুখালী-গোপালদী আঞ্চলিক সড়ক পথে লক্ষ্মীনারায়ণপুর চৌরাস্তা এলাকায় একটি ট্রাক যেতে দেখে এলাকাবাসী ধাওয়া দেয়। পরে ট্রাকের চালকসহ লোকজন ট্রাকটির ইঞ্জিন চালু রাখা অবস্থায় পালিয়ে যায়।
পরে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে ট্রাকটি মধুখালী থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আরও জানা যায়, প্রায়শই গরু চুরি হলেও হয়রানির শঙ্কায় অনেকে থানায় মামলা করেনি। তবে চোর চক্রকে ধরা না গেলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের অন্ত থাকবে না। মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, মধুখালীতে সাম্প্রতিক বেশ কিছু গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, চোর ধরতে পুলিশি টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ চুরির ঘটনায় ইতোমধ্যে থানায় দুটি মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভোরে চোরদের ব্যবহৃত ট্রাকটি আটক করায় এখন ট্রাকের মালিকসহ চোরচক্রকে ধরা সহজ হবে