মৌলভীবাজারে সূর্যমুখী চাষ বেড়েছে ১০ গুণ
প্রাণ ও প্রকৃতি
সূর্যমুখী চাষের দিকে ঝুঁকছেন বর্তমানের অনেক তরুণরা। এটিতে লাভজনক হওয়ায় হওয়ায় গত এক বছরে মৌলভীবাজারে সূর্যমুখী চাষ বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ৮৭ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর কুলাউড়ায় মোট আট হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছিল। এ বছর হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ৮৭ হেক্টর জমিতে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারে এ বছর সূর্যমুখী চাষ হয়েছে ৫৬৫ হেক্টর জমিতে। গত বছর হয়েছিল ৫৮ হেক্টর জমিতে। সাত উপজেলায় তিনটি ভেরাইটি হাইসান-৩৩, হাইসান-৩৬, নতুন বীজ আরডিএস-২৭৫ হাইব্রিড জাতের সূর্যমুখী চাষ হয়েছে।
সূর্যমুখী চাষি সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহিন জানান, ‘আগে অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান তোলার পর এই জমিগুলো পতিত থাকত। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে আমরা গত বছর থেকে সূর্যমুখী চাষ করছি।’
কুলাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন জানান, এ বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। উপজেলায় প্রায় ১১০ জন কৃষককে নিয়ে প্রদর্শনী করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ফরহাদুল হক জানান, ফসল অনেক ভালো হয়েছে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যাবে। প্রতি হেক্টরে দুই টন বা প্রতি বিঘায় আট মণ সূর্যমুখী বীজ পাওয়া যাবে।