রোগের প্রতিষেধক কালো ধান
কৃষি বিভাগ
ব্ল্যাক রাইস বা কালো ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার চাষিরা। এই ধানের চালে পুষ্টিগুণ বেশি বলে দাবি তাঁদের। এ ধানে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে।
কালো ধান চাষে খরচ কম। প্রতি কেজি ধান বিক্রি হয় ৫০০ টাকায়। কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষককে ধান বিক্রির সুযোগ করে দিতে পারলে ব্ল্যাক রাইসের চাষ বাড়বে।
পাংশা পৌর শহরের কুড়াপাড়া এলাকায় ডা. আব্দুল কাদের বালিকা মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কুদ্দুস এবার পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছেন ব্ল্যাক রাইস। তাঁর বাড়ির পাশের জমিতে সবুজ পাতার ফাঁকে দোল খাচ্ছে কালো রঙের ধান। এর থেকে হবে কালো রঙের চাল।
আব্দুল কুদ্দুস জানান, ইউটিউবে এই ধানের চাষাবাদ শিখেছেন। তাঁর মতে, চীনের রাজা-বাদশাহদের সুস্বাস্থ্যের জন্য কালো ধান চাষ হতো, যা ছিল প্রজাদের জন্য নিষিদ্ধ। ঔষধি গুণাগুণের কারণে এই ধান চাষের ইচ্ছা জাগে তাঁর। পরে ২০০ গ্রাম বীজ সংগ্রহ করে চার শতাংশ জমিতে চাষাবাদ করেন। চারা রোপণের নব্বই দিনের মধ্যে ধান ঘরে তোলা যায়। অন্যান্য ধানের চেয়ে রোগ বালাইও কম। ফলনও ভালো পাবেন বলে প্রত্যাশা তাঁর।
কৃষক আল-আমিন হোসেন জানান, তিনিও ইউটিউবে ভিডিও দেখে এই ধানের চাষ শিখেছেন। এই ধান প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫০০ টাকায়। তিনি জানতে পেরেছেন, পাংশা পৌর শহরে এই ধানের চাষ হচ্ছে। তাই দেখতে এসেছেন। আগামীতে তিনিও চাষ করতে চান।
স্থানীয় শাহীন রেজা জানান, ‘শুনেছি এই চালে ঔষধি গুণ আছে। অনেক রোগবালাই কমে যায় এই চালের ভাত খেলে। এই চালের ভাত কেমন, তা খাওয়ার জন?্য ধান সংগ্রহ করে চাষাবাদ করব।’
কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ জানান, কালো ধানের দাম ও চাহিদা অনেক বেশি। কালো ধানে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরাধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে রাখে সুস্থ। এছাড়া ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক।
সূত্র: সমকাল