লোকসানের মুখে মহেশপুরের মাছ চাষিরা
মৎস্য
করোনা পরিস্থিতির পর থেকে মাছের খাবারের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি, মাছের দাম কিছুটা কমসহ নানা কারণে লোকসানে রয়েছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাছ চাষিরা।
ঝিনাইদহ জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, মহেশপুর উপজেলায় প্রতি বছর মাছ উৎপাদন হয় ১০ হাজার ২০০ মেট্রিকটন। এ জন্য বছরে ১১ হাজার ৪০০ মেট্রিকটন খাবারের প্রয়োজন হয়। জেলায় মোট মাছ চাষির ১৪ হাজার ৭৪৫ জন।
রেজাউর ইসলাম নামে একজন জানান, মাছ চাষে লাভ বেশি। কিন্তু সমস্যায় ফেলেছে মাছের খাবারের দাম। ২০ কেজির বস্তায় তিন দফায় কেজিতে তিন টাকা করে বেড়েছে। অন্যদিকে মাছের দামও কমেছে প্রতি মণে গড়ে দুই হাজার টাকা। এই অবস্থায় খাবারের দাম না কমলে আমরা শেষ হয়ে যাবো।
অপর মাছ চাষি রিয়াজ জানান, তেলাপিয়া মাছের খাবার ২৫ কেজির বস্তা গত বছর কিনেছি ১১০০ টাকা করে। চলতি বছর একই বস্তা কিনতে হচ্ছে ১২২৫ টাকায়। এভাবে খাবারের দাম বাড়লে মাছ চাষ করব কীভাবে।
মাছের খামারি আহসানুজ্জামান রুমেল জানান, শুকনো মৌসুমে পুকুরগুলোতে সেচ দিতে হয়। মাছ চাষ কৃষির অন্তর্ভুক্ত হলেও পুকুর সেচে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় বাণিজ্যিক হারে। একইসঙ্গে মাছের খাবার, ওষুধ, লবণ, চুনসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণের দাম বাড়লেও মাছের দাম বাড়েনি। ফলে মাছ বিক্রিতে বর্তমানে লাভবান তো দূরে থাক, উল্টো লোকসান গুনতে হচ্ছে।
মহেশপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, ‘খাবারের দাম কমানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। তারা বলছে, করোনার কারণে দাম বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলে হয়তো খাবারের দাম কমবে। বাড়বে মাছের দামও।’