লোকালয়ে পাওয়া হরিণ শাবকটি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর
প্রাণ ও প্রকৃতি
কোন প্রাণীর ধাওয়া খেয়ে নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপে বাবুল মেকার (৫৫) নামে এক কৃষকের বাড়িতে ঢুকে পড়ে একটি হরিণ শাবক। পরে উঠানে শাবকটিকে দেখে হরিণটিকে ধরে ফেলেন তিনি। এরপর নিঝুমদ্বীপে থাকা পর্যটক ও স্থানীয়রা ভিড় করে শাবকটি দেখতে।
বিষয়টি বনবিভাগের লোকজন জানতে পারলে কৃষকের সঙ্গে দেখা করেন।
পরে বৃহস্পতিবার রাতে নিঝুমদ্বীপ বনবিভাগের লোকজনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে শাবকটিকে হস্তান্তর করা হয়।
হরিণের শাবকটি উদ্ধার করা বাবুল মেকার নিঝুমদ্বীপের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি বাতায়ন কিল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বসবাস করেন। বাবুল জানায়, তাদের বাড়ির পাশে বিশাল খালি মাঠে প্রতি রাতে ভিড় করে হরিণের দল। বনের খুব নিকটে হওয়ায় খাবারের খোঁজে আসে এসব হরিণ।
বৃহস্পতিবার রাতে হরিণের একটি দল এসে মাঠে দাঁড়ালে শিয়াল এসে আক্রমণ করে তাদের উপর। এসময় হরিণের দল পালানোর সময় দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি বাচ্চা তাদের ঘরের পাশে এসে লুকিয়ে পড়ে। মহিলারা তুলে নিয়ে দেখেন বাচ্চাটির পেছনের একটি পা ভেঙে গেছে। পরে রাতে সেই বাচাটি নিয়ে নামার বাজারে যান কৃষক বাবুল।
বাজারের ব্যবসায়ী মামুনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে বনবিভাগের লোকজন এসে বাচ্চটি নিয়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন হোটেলে থাকা পর্যটক ও স্থানীয় অনেক লোক এসে ভিড় করে মামুনের দোকানে। অনেকে কোলে নিয়ে ছবিও তোলেন।
নিঝুমদ্বীপ বন বিভাগের ভিট কর্মকর্তা মাসুদ রায়হান বলেন, উদ্ধার হওয়া শাবকটির একটি পা ভেঙে গেছে। প্রথমে শাবকটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। একেবারে সুস্থ হয়ে পড়লে বনে ছেড়ে দেওয়া হবে।