শীঘ্রই জিআই সনদ পেতে যাচ্ছে বাগদা চিংড়ি
মৎস্য
ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই সনদ পেতে যাচ্ছে বাগদা চিংড়ি। সনদ পেলে বাড়বে এ পণ্যের দাম। এতে লাভবান হবে এই পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে রপ্তানিকারকরা।
পাশাপাশি বাগদা চিংড়ির উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা পাবে বাংলাদেশ। সুস্বাদু, তাই বিশ্বে কদর আছে বাগদা চিংড়ির। গুণগত মানের কারণে ৮০’এর দশক থেকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত বাগদা রপ্তানি হচ্ছে দেশে-দেশে।
চাহিদার কারণে ২০১৭ সালে মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রনালয়ে পেটেন্ট ডিজাইন এবং ট্রেড মার্ক বিভাগে বাগদা চিংড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের আবেদন করে। আর এই আবেদনের স্বীকৃতি পেলে অর্থকরী এই পণ্যের আর্ন্তজাতিক বাজারে জিআই সনদ মিলবে।
খুলনা ক্রিমসন রোজেলা সি ফুড লিমিটেড’র পরিচালক মোহম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, ‘জিআই পাওয়া আমাদের জন্য খুবই সাফল্যের ব্যাপার। আপনারা জানেন ইউরোপ-আমেরিকাতে জিএসপি ফেসালিটি আছে। জিএসপি ফেসালিটি পাওয়ার ক্ষেত্রে জিআই আরও সহায়ক হবে।’
এরই মধ্যে বাগদা চিংড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, জার্নাল প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে এটি নিজেদের বলে কেউ আপত্তি না করলে সনদ দেয়া হবে। এ পর্যন্ত কেউ এ বিষয়ে আপত্তি না জানানোয় জিআই অনুমোদনের দ্বারপ্রান্তে বাগদা চিংড়ি।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোটার অ্যাসোসিয়েশন’র সহ সভাপতি এস হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এটা পেয়ে গেলে এটা আমাদের নিজেস্ব পণ্য হিসাবে বিশ্ববাজারে পরিচিত হবে। আমরা এটাকে ব্যান্ড হিসেবে বিশ্ববাজারে অধিক দামে বিক্রি করতে পারবো।’
জিআই সনদ পেলে আর্ন্তজাতিক বাজারে নিজস্ব ট্যাগ মিলবে বাগদা চিংড়ির। এতে অন্যকোন দেশ আর বাগদা চিংড়িকে নিজের বলে দাবি করতে পারবে না।