শেরপুরে সরিষার বাম্পার ফলন
কৃষি বিভাগ
শেরপুরে সরিষার হলুদ ফুলে ছেঁয়ে গেছে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ। হিমেল বাতাসে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্য। দেখে মনে হয় ফাগুনের আগেই হলুদ বরণে সেজেছে প্রকৃতি। কৃষকরা জানান, এবার ফলন অনেক ভালো হবে। সরিষা বিক্রি করে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশা করছেন তারা।
দিগন্তজুড়ে যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। এ যেন হলুদের চাদর মোড়ানো সরিষা ফসলের মাঠ। সরিষা ফুলের গন্ধে ভরে গেছে ক্ষেতের পাশের গ্রামগুলো। আমন ধান কাটার পর বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষার মূল্য চড়া হওয়ায় কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
শেরপুর জেলা সদরসহ পাঁচ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরিষার আবাদ হয়েছে নকলা ও শ্রীবরদী উপজেলায়। এ উপজেলার কৃষকরা ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন।
কৃষকেরা জানান, অল্প খরচে স্বল্প সময়ে বেশি লাভের আশায় তারা সরিষা আবাদ করেছেন। গেলো দুই মৌসুমে লকডাউন, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকের ক্ষতি হলেও এবার সরিষার ভালো ফলনে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার কথা ভাবছেন তারা।
এদিকে, রোদের ঝলমল আলোয় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে ভিড় করছে মানুষ।
জমিতে সরিষা চাষ করলে সরিষার ফুল ও সরিষা ঝরে পড়ে মাটিতে মিশে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। যা পরবর্তীতে বোরো আবাদে অধিক ফলন পেতে সার হিসেবে কাজ করে বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মুহিত কুমার দে বলেন, সরিষা একটা লাভজনক ফসলে পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মধু উৎপাদন। কৃষকেরা সরিষা চাষের পাশাপাশি মধু উৎপাদনেও এগিয়ে এসেছে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে সরিষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। এরইমধ্যে তা প্রায় পূরন হয়ে গেছে। যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।