সবাই মিলে মাছ ধরে সমহারে বণ্টন
মৎস্য
শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে আবাসনের পুকুরের মাছ ধরে সমহারে ভাগ করে দেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের এমন আয়োজন ছিলো প্রশংসনীয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে পূর্ব চাকামাইয়া গ্রামে ৮ একর জমির উপর ১শ হতদরিদ্র মানুষের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে সরকার। আর এ আশ্রয়ন প্রকল্পের মধ্যে ৩ একর জায়গাজুড়ে পুকুর।
এ পুকুরে সরকার প্রতি বছরই মাছ চাষ হয়। কিন্তু এসব মাছ ধরে নিয়ে যেতো স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বঞ্চিত হতো আবাসনে বসবাসকারী শত পরিবার। সর্বশেষ গত ২৬ রমজান চাকামাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ পুকুরের মাছ ধরে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ। পরে মাছ ধরা নিয়ে আবাসনের বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২২ জুন আবাসনে প্রবেশ করে কহিনুর (৩৭) নামের এক নারীকে চেয়ারম্যানের নির্দেশে মারধর করে আলম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহসিন ও আলমগীর আকন। এঘটনায় ওই দিনই ওই নারী বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ (শুক্রবার) সকাল ১০টায় ওই পুকুর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৮ মন মাছ ধরা হয়। এসময় এসব মাছ আবাসনে বসবাসকারীদের মাঝে বন্টন করা হয়। দীর্ঘদিন পর এ পুকুরের মাছ পেয়ে হাসি ফুটেছে আবাসনের বাসিন্দাদের মাঝে। মাছ বন্টনের এমন কাজকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।
মাছ বিতরনের সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বক্কর সিদ্দিকী, কলাপাড়া থানা পুলিশের সদস্য ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চাকামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবর ফকির জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বক্বর সিদ্দিকী জানান, সরকারি নীতিমালায় আছে আশ্রয়ের সব কিছু আশ্রয়নের প্রকল্পের বাসিন্দারা ভোগ করবে। কিন্তু বেশ কয়েকদিন আগে এই আবাসনের কহিনুর (৩৭) নামের এক নারীকে মারধর করা হয় এবং চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এনিয়ে একটি মামলাও চলমান রয়েছে। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় আজ মাছ ধরে স্থানীয় বাসিন্দারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।