সরকার পরিবেশ দূষণ রোধে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার পরিবেশ দূষণ রোধে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলা শুধুমাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন এজেন্ডা নয়, এটি বাংলাদেশের জন্য সবুজ বৃদ্ধির পথ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্ভাবন এবং সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি সুযোগ। বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু আইন, বিধি, প্রবিধান, নীতি এবং সবুজ বৃদ্ধির কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে এই চ্যালেঞ্জে সক্রিয়ভাবে সাড়া দিয়েছে।
শনিবার (৮ অক্টোবর) শেরাটন হোটেল, বনানী, ঢাকায় “টেকসই প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নীতি সক্রিয়করণ” শীর্ষক সেমিনারে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, নিয়ন্ত্রণহীন প্লাস্টিক বর্জ্য মানুষের স্বাস্থ্য, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং সব ইকোসিস্টেমের ওপর অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রদ, খাল এবং নদীতে এবং শেষ পর্যন্ত সমুদ্রে চলে যায়। মাইক্রোপ্লাস্টিক আমাদের খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করছে যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। তিনি বলেন প্লাস্টিক পরোক্ষভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নে ভূমিকা রাখছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ‘বাংলাদেশে টেকসই প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্টের জন্য মাল্টিসেক্টরাল অ্যাকশন প্ল্যান’ চূড়ান্ত করেছে। ‘টেকসই প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্টের জন্য ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান’ একটি 3R কৌশলের ভিত্তিতে প্লাস্টিকের সার্কুলার ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে: হ্রাস করুন, পুনরায় ব্যবহার করুন, পুনচক্রায়ন করুন। একটি বৃত্তাকার অর্থনীতি সামাজিক এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন মূল্য শৃঙ্খল, দক্ষতা, উদ্ভাবনী পণ্য এবং পরিবেশ বান্ধব কর্মসংস্থান তৈরি করতে সহায়তা করবে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকায় একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক বন্ধ করার জন্য একটি রোডম্যাপ অনুমোদন করেছে। তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা জোরদার করতে হবে যাতে আমরা আমাদের এসংক্রান্ত জাতীয় গাইডিং নীতির চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের কোথায় আমাদের দেশের মতো প্লাস্টিক পলিথিন পড়ে থাকতে দেখা যায় না,তাই এর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতার বিকল্প নেই।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এবং অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং এফবিসিসিআই এর সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন প্রমুখ।