সিলেটে কোটি টাকার তক্ষক উদ্ধার করে অবমুক্ত
প্রাণ ও প্রকৃতি
সিলেটে কোটি টাকার মূল্যের একটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাতে ‘প্রাধিকার’ এর সদস্যদের এক অচেনা প্রানির সন্ধান দেয় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রশান্ত সিংহা প্রান্ত ও তার পরিবার। পরে প্রাধিকারের সদস্যরা সিলেট শহরের আম্বরখানার মনিপুরী পাড়া থেকে প্রানিটি উদ্ধার করে।
প্রাধিকারের জনসংযোগ সম্পাদক আরিজ আহমেদ সাদ বলেন, এটি তক্ষক, লম্বায় ১০ ইঞ্চি। ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম । অন্যান্য আত্মরক্ষী প্রাণীদের মত তক্ষকের ইন্দ্রিয় ক্ষমতা দাপুটে। এটি নিজের শরীরের লেজ, দাঁত, পা প্রভৃতি হারালেও আবার প্রাকৃতিক ভাবে গজাতে পারে।
শুক্রবার প্রাধিকার এর সদস্য ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রাণিটি সিলেট বন্যপ্রানী সংরক্ষণ কেন্দ্রে অবমুক্ত করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাধিকারের উপদেষ্টা ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান ,ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার শহিদুল ইসলাম , প্রাধিকারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রাহমান, সভাপতি তাজুল ইসলাম, রেসকিউ হেড আশরাফুল ইমন , জনসংযোগ সম্পাদক আরিজ আহমেদ ও নাহিয়ান রহমান।
ডাঃ কামরুল হাসান বলেন, এশিয়ান প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও আধুনিক চিকিৎসাায় হাঁপানি,এইডস, ক্যান্সারের ওষুধ তৈরিতে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। কার্যত এ ঔষধ এবং পরিক্ষা ফলপ্রসূ না হলেও তক্ষকের বিলুপ্তি ও শিকার চলছে অবৈধ ভাবে ও অহরহ।
তক্ষক দিয়ে ক্যান্সারের মূল্যবান ওষুধ তৈরি হয়, তক্ষক ঘরে থাকলে লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা আসে, প্রতিবেশী দেশে এর ব্যাপক চাহিদা, মাথার ম্যাগনেটের দাম কোটি টাকা—এমন গুজবের ওপর ভর করে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্নে দেশজুড়ে রয়েছে কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র । আমার জানামতে আদৌও এর মূল্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে গুজবের কারণে বিলুপ্ত হচ্ছে বিরল প্রজাতির এই প্রাণীটি।আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকা অনুযায়ী এটি একটি বিপন্ন বন্যপ্রাণী।’