সুপারী উৎপাদনে উপযোগী লক্ষ্মীপুর
কৃষি বিভাগ
সুপারী উৎপাদনের উপযোগী ভূমি উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর। জেলার প্রতিটি গৃহস্থ বাড়িতে বিস্তৃত ভূমি জুড়ে রয়েছে সুপারী বাগান।
প্রতি মৌসুমে সুপারী বিক্রীর আয়ে এখানকার এক একটি পরিবার ব্যাপক লাভবান হয়ে থাকে। পরিবারের বাৎসরিক খরচের উল্লেখযোগ্য অংশের যোগান আসে সুপারী বিক্রীর টাকায়। তিন রকমভাবে এখানে সুপারী বেচা-বিক্রী হয়ে থাকে।
মৌসুমের শুরুতে গাছের লাল সুপারী প্রথমবার রাঙিয়ে তোলে গৃহস্থের মন। রঙিন সুপারীতে একরকম দাম পাওয়া যায়। এরপর জাগ দিয়ে ভেজানো সুপারী মৌসুম শেষে আরেকটু চড়া দামে বিক্রী করা যায়।
এছাড়া সুপারী শুকিয়ে মজুদ রেখে কয়েকমাস পরে ছোবড়া ছিলেও বিক্রী করা হয়। বলতে গেলে এক মৌসুমের সুপারী ধাপে ধাপে বিভিন্ন পদ্ধতিতে সারাবছরই সুযোগমতো বিক্রী করে বাগান মালিকরা বাড়তি উপার্জন করে থাকে।
এ জেলার মানুষ পান এর সাথে সুপারী খেয়ে থাকে। পান ছাড়া আর কোন ভাবে সুপারীর ব্যবহার হয়না এখানে। পরিবারগুলোতে বছরজুড়ে পানের রসদ হিসেবে সুপারী আন্দাজমত মজুদ রেখে উৎপাদিত আর সব সুপারী বিক্রী করে নগদ টাকা আয় করে থাকে। সুপারীতে ভাল আয় থাকায় বাগানের উপযুক্ত পরিচর্যাও করে থাকে বাগান মালিকরা।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে চাষের বিপরীতে চলতি বছর সুপারি উৎপাদন হবে ১৭ হাজার মেট্রিকটন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা।
এখানকার উৎপাদিত সুপারি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সারাদেশে যাবার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেও যাচ্ছে। করোনার এই ক্রান্তিকালে সুপারির বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পেয়ে হাসি ফুটেছে সুপারির বাগান মালিকদের মুখে।
সুপারীর উন্নয়নে সুষ্ঠু পরিকল্পনা নেয়া গেলে আগামীতে ফলন আরো বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা।