হাঁসপালনে চাঙা হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা
প্রাণিসম্পদ
নড়াইলে বিলে প্রাকৃতিক খাদ্যের ওপর নির্ভর করে উন্মুক্ত পদ্ধতির হাঁস পালন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা চাঙা করছে। কালিয়া উপজেলার পিরোলীর অনেকেরই ভাগ্য বদলে গেছে হাঁস পালনে। সীমিত খরচে অধিক লাভের ফলে এ ধরনের খামারের সংখ্যা বাড়ছে।
বিলে হাঁস পালন নড়াইল জেলার একটি আদিপ্রথা। তবে, হাঁস পালনে অনুকূল পরিবেশ থাকায় এবং ভালো লাভ হওয়ায় গত এক দশকে নিম্নাঞ্চলবর্তী বিল এলাকার ঘরে ঘরে গড়ে উঠেছে খামার।
পিরোলী গ্রামের হুমায়ুন শেখ। একটা সময় ছিল যখন, অভাব পিছু ছাড়তো না তার সংসারে। দিনমজুর খেটে সামান্য উপার্জনে স্ত্রী সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো তার। বছর দশেক আগে ঋণ নিয়ে খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। শুধু হুমায়ুন নন, এলাকার অনেকেরই ভাগ্যের চাকা বদলেছে হাঁস পালনে। খামার থেকে ডিম সংগ্রহ আর মৌসুম শেষে বাজারে হাঁস বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন খামারিরা।
নড়াইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মারুফ হাসান বলেন, হাঁস পালনের প্রশিক্ষণসহ নানা সহায়তার কথা। ডাক প্লেগ ও ডাক কলেরা এ দুইটা রোগের বিরুদ্ধে আমরা সরকারিভাবে ভ্যাকসিন দিয়ে থাকি।
নড়াইলের কালিয়া পিরোলী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ফোরকার শেখ জানান, আমি খামারিদের পাশে থেকে তাদের সুবিধা-অসুবিধা আছে, এসবই আমি দেখাশুনা করি।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় ৩ শতাধিক খামারে রয়েছে অন্তত দেড় লাখ হাঁস। এসব খামার থেকে প্রতি মাসে ন্যূনতম ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা আয় হয়।