হাঁস-মুরগি পালনে অর্থনৈতিতে অবদান রাখছেন উপকূলীয় নারীরা
প্রাণিসম্পদ
বাংলাদেশে এখন পুরুষদের পাশাপাশি বাড়ছে নারী উদ্যোক্তাও। উপকূলীয় চরাঞ্চলের বেশির ভাগ নারীরা এখন হাঁস-মুরগি পালনে পরিবারে অর্থনৈতিক অবদান রাখছেন প্রচুর।
জানা যায়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের “উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প” বাংলাদেশের উপকূলীয় চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। প্রকল্পটি বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের ১৬টি উপকূলীয় উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই প্রকল্পে প্রত্যেক সুফলভোগী শুরুতে তিনদিনের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে ২০টি করে হাঁস বা ২০টি করে মুরগি বা তিনটি করে ভেড়া বিনামূল্যে পেয়ে থাকেন। পাশাপাশি বিনামূল্যে হাঁস, মুরগি ও ভেড়া রাখার জন্য শেড, খাদ্য, ওষুধ, ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা সুবিধা পেয়ে থাকেন।
বরগুনা সদর উপজেলার মুরগি পালন গ্রুপের সুফলভোগী মোসা. মনিকা জানান, তিনি এই প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত ২০টি মুরগি থেকে গড়ে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩টি ডিম পান, এ পর্যন্ত প্রায় ৫০টি বাচ্চা উৎপাদন করেছেন। তিনি প্রায় ৮ হাজার টাকা পুঁজি গড়েছেন।
সুফলভোগী শামসুন্নাহার বেগম জানান, আমরা তিনদিনের ট্রেনিং শেষে ২০টি মুরগি পেয়েছিলাম, সেখান থেকে এখন মুরগির সংখ্যা ১২০টি। মুরগি থেকে প্রায় ৬০০টি ডিম বিক্রি করেছি।
আরেক সুফলভোগী জানান, আমি তিনদিনের মৌলিক প্রশিক্ষণ নিয়েছি। সেখান থেকে তিনটি ভেড়া, শেড, খাবার, মেডিসিন আর ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পেয়েছি। এখন আমার ভেড়ার সংখ্যা সাতটি।
উপকূলীয় চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে অর্থনীতির মূলস্রোতে অন্তর্ভুক্ত করার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক জিয়াউল হক রাহাত জানান, এ প্রকল্পটি সরাসরি উপকূলীয় চরাঞ্চলের মানুষকে প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে ২০টি করে হাঁস বা ২০টি করে মুরগি বা তিনটি ভেড়া এবং হাঁস, মুরগি ও ভেড়া রাখার জন্য শেড, খাদ্য, মেডিসিন ও ভ্যাকসিন বিতরণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করছে।