হাইব্রিড করলা চাষে সফল মৌলভীবাজারের শফিক
কৃষি বিভাগ
নিরাপদ সবজির গ্রাম বনগাঁও। যে গ্রামের অধিকাংশ পরিবার কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই সারা বছর এই গ্রামে উৎপাদিত হয় বিষমুক্ত নানা জাতের সবজি। এবার অধিক ফলনশীল ও আকর্ষণীয় হাইব্রিড করলা ‘টিয়া সুপার’ চাষে চমক সৃষ্টি করেছেন জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের সবজির গ্রাম হিসাবে পরিচিত বনগাঁও গ্রামের কৃষক শফিক মিয়া।
তার সফলতা দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছেন, সুস্বাধু এই সবজি চাষে। তবে পানির অভাবে কাঙ্খিত ফলন হচ্ছে না বলে জানালেন কৃষকরা।
শফিক মিয়া জানালেন, আড়াই বিঘা জমিতে প্রথমে পরীক্ষামূলক ভাবে উচ্চফলনশীল জাতের ‘করলা টিয়া সুপার’ চাষ শুরু করেন। চারা লাগানোর ৪৫ দিনের মাথায় করলা সংগ্রহ শুরু করেন ওই কৃষক। ওজনে একেকটি করলা হয়ে থাকে ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম।
কৃষক শফিক আরও জানান, আড়াই বিঘা জমিতে করলা চাষ করতে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকার মতো। মাঠ থেকেই প্রতি কেজি করলা বিক্রি করেছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টন।
বাণিজ্যিকভাবে হাইব্রিড করলা টিয়া সুপার চাষ লাভজনক। এখনও আরো ১ লক্ষ টাকার উপরে করলা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
শফিকের সাফল্য দেখে এ জাতের করলা চাষ করছেন গ্রামের অন্য কৃষকরাও। তবে বর্তমানে করলার দাম কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় তারা।
সিন্ধুরখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াছিন আরাফাত রবিন বলেন, পানির সংকটের কারণে অনেক কৃষি জমিতে ফসল চাষ করা যাচ্ছে না। তাই এখানে দ্রুত সেচের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহদত আহমেদ বাবুল জানান, টিয়া সুপার করলা খুব ভালো জাতের বীজ। ফলের ওজন ভালো। এই জাতের বীজ ব্যবহার করলে কৃষক লাভবান হবে বেশি।