হাবিপ্রবি’তে বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি ছাত্র পরিষদের প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মানববন্ধন
Uncategorized
ভেটেরিনারি পেশা সম্পর্কে না জেনে ড: নূর জাহান সরকার উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এবং অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদ এবং বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি ছাত্র পরিষদের শিক্ষার্থীবৃন্দ ।
সম্প্রতি ঢাকা চিড়িয়াখানায় দুটি ব্যাঘ্রশাবকের অসুস্থতাজনিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইন্ডিপেনডেন্ট চ্যানেলের আলোচনায় একজন ভেটেরিনারিয়ানের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সাংবাদিক অবান্তর ও ভূল কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছেন, যা সংশ্লিষ্ট ভেটেরিনারি ডাক্তার তথা সকল ভেটেরিনারিয়ানগণের জন্য অপমানজনক ও মানহানিকর।সাক্ষাতকারে ড. নূর জাহান সরকারের অশালীন ও বিদ্বেষপ্রসূত মন্তব্য করেছে।
উক্ত মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন,মান্নান, সাকিব,তানজিল,সৈকত,শাহরিয়ার,রাংগা,নূর,মনসুর সহ বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ।উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখে বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোজাক্কির হোসেন আনন্দ।এ সময় শিক্ষার্থীবৃন্দ ডঃ নুরজাহান সরকারের তীব্র নিন্দা এবং উক্ত মন্তব্য প্রত্যাহার করার আহবান জানান।পরিশেষে মোজাক্কির হোসেন আনন্দ সকল ভেটেরিনারিয়ানদের এক হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গরার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে মানবন্ধনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য , গত ১৫ নভেম্বর শাবক দুটিকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখার পর, তাদের চিকিৎসার উদ্যোগ নেয় চিড়িয়াখানা মেডিক্যাল বোর্ড। পরে তাদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় রক্তে মাছিবাহিত পরজীবী ধরা পড়লে তাদের চিকিৎসাও শুরু হয়।শাবক দুটির চিকিৎসায় গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকেও একজন চিকিৎসককে যুক্ত করে চিড়িয়াখানার মেডিক্যাল বোর্ড। যে রোগে বাঘ ছানা দুটি আক্রান্ত হয়েছিল, সেটিকে মানব শরীরের ডেঙ্গুর সঙ্গেও তুলনা করেন আবদুল লতিফ।কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুর্জয় ও অবন্তিকাকে আর বাঁচানো যায়নি। গত ২১ নভেম্বর মারা যায় দুই শাবকই।