হিলিতে ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার
কৃষি বিভাগ
আমনের ভরা মৌসুমেও দিনাজপুরের হিলিতে সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩-৪ টাকা করে। ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ। এর মধ্যেই বেড়েছে ধানের দাম। এসব কারণে এমনিতেই বাজার চড়া। তার ওপর চাল মজুদ করে রেখে কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছেন মোকাম ও মিল মালিকরা।
হিলির চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের সব চালের দোকানেই পর্যাপ্ত চালের মজুদ রয়েছে। তার পরও চিকন ও মোটা—এ দুই জাতের চালের দাম বেড়েছে। মিনিকেট জাতের চাল আগে পাইকারিতে কেজিপ্রতি ৫৪-৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে ৫৭-৫৮ টাকায় উঠেছে। আটাশ জাতের চাল এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে দাম বেড়ে ৪৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে ২-৩ টাকা করে।
চাল কিনতে আসা উজ্জল হোসেন বলেন, আমরা মনে করেছিলাম আমন ধান উঠলে চালের দাম কমবে। কিন্তু এখন এর উল্টোটা ঘটছে। গত সপ্তাহে চাল কিনেছি ৪০ টাকা কেজি দরে। এখন সে চাল কিনতে হচ্ছে ৪২-৪৩ টাকা কেজি দরে। চালের দাম বাড়লেও আমাদের সেভাবে আয় বাড়ছে না। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি।
হিলি বাজারের চালবিক্রেতা সুব্রত কুণ্ডু বলেন, বাজারে নতুন ধান উঠলেও দাম বেশি। আর চাতাল মালিকরা অনেকেই মিল চালু করেননি। আবার যারা চালু করেছেন, তারা চাল মজুদ করে রেখেছেন। আমদানীকৃত যেসব চাল দেশে ঢুকেছে, বিভিন্ন গুদামে সেসব চাল মজুদ করে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ সংকটের সুযোগে তারা দাম বাড়াচ্ছেন।
হিলি বাজারের চাল ব্যবসায়ী স্বপন কুমার ও ফিরোজ হোসেন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে চিকন ও মোটা—দুই জাতের চালের দাম কেজিপ্রতি ৩-৪ টাকা করে বেড়েছে। এর প্রধান কারণ ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। যাদের গুদামে এখনো চাল মজুদ রয়েছে, তারা কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া নতুন ধানের ঊর্ধ্বমুখী দামও বাজারে প্রভাব ফেলেছে। চাল আমদানি শুরু হলে আবারো দাম কমতে পারে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, কৃষকের উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সরকার চালের আমদানি শুল্ক বাড়ায়। গত ৩০ অক্টোবর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে স্থানীয় বাজারে দাম বাড়ছে।