লোকালয়ে নেমে আসছে বন্যহাতির পাল
প্রাণ ও প্রকৃতি
প্রতিদিনই বন্যহাতির পাল নেমে আসছে লোকালয়ে। ধ্বংস করছে বাড়িঘর, খেয়ে সাবার করছে ক্ষেতের ফসল। নষ্ট হচ্ছে ফল ও সবজির বাগান। একই সপ্তাহ কয়েকবার আক্রান্ত হয়েছে শেরপুরের তিন উপজেলার সীমান্ত এলাকার মানুষ। হাতির বিচরণ ঠেকাতে বন বিভাগের কোন পদক্ষেপই কাজে আসছে না।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী-এই তিন উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন। সীমান্তবর্তী এসব জনপদে মাঝে মধ্যেই হানা দেয় হাতির পাল। রাতে এমন কি, কখনো কখনো দিনেও জনপদে নেমে আসে বন্যহাতি।
এলাকাবাসী জানায় ভারতের পিক পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল খাবারের সন্ধানে নেমে আসে। ক্ষেতের ফসল, সবজি, ফলের বাগান নষ্টের পাশাপাশি বাড়িঘরেও তাণ্ডব চালায়। ঘটেছে মৃত্যুর ঘটনাও। গত এক সপ্তাহেই কয়েকবার তাণ্ডব চালিয়েছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এসব এলাকার মানুষ।
হাতির অবাধ বিচরণ ঠেকাতে বন বিভাগে উদ্যোগে ২০১৪ সালে কাটাযুক্ত বেত ও বড়ই গাছ রোপন, এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম গঠন করা হয়। এছাড়া, ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১কিলোমিটার এলাকায় সোলার পাওয়ার ফেন্সিং স্থাপন করা হয়। এসব কোন উদ্যোগ কাজে আসছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
অভিযোগ অস্বীকার করে আরো ১০ কিলোমিটার এলাকায় নতুন করে সোলার ফেন্সিং স্থাপন করা হবে বলে জানালেন, বন বিভাগের কর্মকর্তা আমীর হেসেন চৌধুরী।
হাতির উপদ্রপ ঠেকাতে স্থায়ি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের।