৩:০৫ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • জয়পুরহাটে ৪০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
ads
প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৯, ২০২১ ৩:৩০ অপরাহ্ন
জয়পুরহাটে ৪০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
কৃষি বিভাগ

আলু উৎপাদনে দেশের বৃহত্তম জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাটে চলতি মৌসুমে ৪০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আলু চাষ সফল করতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ২০২১-২০২২ মৌসুমে জেলায় ৪০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতো মধ্যে ৯৮ ভাগ জমিতে আলু লাগানো সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। উপজেলা ভিত্তিক আলু লাগানোর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে- জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ৭ হাজার ১০০ হেক্টর, পাঁচবিবি উপজেলায় ৭ হাজার হেক্টর, ক্ষেতলাল উপজেলায় ৯ হাজার হেক্টর, কালাই উপজেলায় ১১ হাজার ১০০ হেক্টর ও আক্কেলপুর উপজেলায় ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমি। এতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩১ টন। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো সম্ভব হয়ে থাকে।

কৃষি বিভাগ জানায়, আলু চাষ সফল করতে জেলায় সারের মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে। নভেম্বর মাসের মজুদ সারের পরিমান ছিল ইঊরিয়া ২ হাজার ১৬০ টন, টিএসপি ১ হাজার ৯১ টন, এমওপি ১ হাজার ৫৯৩ টন ও ডিএপি ৩ হাজার ১১৯ টন।

সরকারের বিভিন্ন ধরনের আগাম প্রস্তুতি গ্রহনের ফলে রাসায়নিক সারের কোন প্রকার সংকট সৃষ্টি হয়নি এবং বাজারে পর্যাপ্ত বিএডিসি আলুবীজ সরবরাহ কোন সমস্যা হয়নি। ভালো মানের কারণে বিএডিসির আলুবীজের চাহিদা কিছুটা বেশি থাকে।

জেলায় আলু চাষ সফল করতে কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষন সহ উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক মনিটরিং ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: শফিকুল ইসলাম।

জয়পুরহাটের আলু উন্নত মানের হওয়ায় গতবছর দেশের গন্ডি পেরিয়ে ৯ টি দেশে রপ্তানী করা সম্ভব হয়। দেশ গুলো হচ্ছে মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, নেপাল ও রাশিয়া। প্রাচীন বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাট জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে আলুর চাষ হয়ে থাকে। গত বছর ৩৮ হাজার ৫শ ৩০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এতে আলু উৎপাদন হয় ৮ লাখ ১৫ হাজার টন। ফলন ভাল হওয়ায় জেলায় গ্যানোলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্টোরিকস, কার্ডিনাল, ও রোজেটা জাতের আলু বেশি চাষ করে থাকেন কৃষকরা। জেলার ১৫ টি কোল্ড ষ্টোরেজে প্রায় দেড় লাখ টন আলু সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় বলে জানায়, কৃষি বিভাগ।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop