কৃষক থেকে শিক্ষক সবাই ব্যস্ত ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজে
কৃষি বিভাগ
আমন ধান কাটার সময় হলেই পাহাড়ের ঘরে ঘরে শুরু হয় আনন্দের জোয়ার। প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় শুরু হয় উৎসবের আমেজ। বিশেষ করে পাহাড়ী পল্লীগুলোর সকল পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসে একে অপরের সহযোগিতায়।
পানছড়ি উপজেলার চৌধুরী পাড়া এলাকার ধানের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কেউ ছাত্র, কেউ শিক্ষক, কেউ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া, কেউ চাকুরিজীবি, কেউ ফুটবলার আবার কেউবা ফুটবল কোচ। ধানের মাঠে তারা সবাই কৃষক। ধান কাটা, কাঁধে ভারে করে ধান টানা, ধান মাড়াই, শুকানো, বাতাসের মাধ্যমে ধানের চিটা আলাদা করার পর ধান গোলায় ভরাসহ সকল কাজে একে অপরকে সাহায্য করে।
তাদের দাবি এখানে ধনী-গরীব বলে কোন ভেদাভেদ নেই। সবাই হাসি ঠাট্টার মাধ্যমেই কাজগুলো সম্পন্ন করে দিচ্ছে। গোলায় ধান ওঠার দিন সকলে মিলে রান্না করে একসাথে খাবে আর আনন্দ করবে এতেই সকলের তৃপ্তি। পানছড়ির কৃতি ফুটবলার ও বাফুফের সি লাইসেন্সধারী কোচ ক্যপ্রুচাই মারমা জানায়, ‘এটা আমাদের ঐতিহ্য তাই ফুটবলের মাঠ ছেড়ে কয়েকটা দিন সবার সাথে ধানের মাঠে সহযোগিতার মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ করছি।’
পানছড়ি উপজেলার সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অরুণাংকর চাকমা বলেন, নবান্নে ভেদাভেদ ভুলে একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা দীর্ঘ দিনের প্রথা। তবে এর আমেজ আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও নবান্নে আমন, বিন্নি ও বিভিন্ন জাতের সুগন্ধি চাউলের গন্ধে কৃষক পরিবার থাকে মুখরিত। এসময় বাড়িতে বাড়িতে জমে ওঠে পিঠা উৎসব। পিঠা বানিয়ে প্রতিবেশীদের নিমন্ত্রন ও একে অপরের বাড়িতে বিতরণের করে সবাই মিলে নবান্ন উৎসব পালন করে থাকে।