কচু ও লতি বিক্রিতে লাখ টাকা আয় জামাল উদ্দিনের
এগ্রিবিজনেস
ময়মনসিংহের নান্দাইলে চরকামট খালী গ্রামের জামাল উদ্দিন (৬৫) কচু ও লতি বিক্রি করে হয়েছেন লাখপতি। কঠোর পরিশ্রম করে নিজের ভাগ্যকে বদলে দিয়েছেন।
নিজের ৩০ শতাংশ জমিতে তিনি কচু চাষ করেন। এখন পর্যন্ত তিনি ৮৫ হাজার টাকার কচু ও লতি বিক্রি করেছেন। পরিচর্যা,সার ও কীটনাশকসহ তার মোট ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কচুর পাশাপাশি লাউ, শিম এবং টমেটোও রোপন করেছেন একই জমিতে। সেখান থেকেও আরও লাভ আসবে বলে জানান এই কৃষক।
সরেজমিন দেখা যায়, জামাল উদ্দিন কচু ক্ষেতে লতি তুলছেন। এখন লতি তোলার শেষ সময়। আর এক সপ্তাহ লতি তুলতে পারবেন বলে তিনি জানান। এক মাঘ মাসে তিনি কচুর চারা রোপন করে আরেক পৌষ-মাঘ পর্যন্ত (১ বছর) লতি তুলতে পারেন।এখন পর্যন্ত তিনি ৮৫ হাজার টাকার লতি বিক্রি করেছেন।
কচু গাছে এখনো যে পরিমান লতি রয়েছে তাতে তিনি ধারনা করছেন অন্তত আরো ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার লতি বিক্রি করতে পারবেন।স্থানীয় বাজারগুলোতে তিনি প্রতিটি লতির আটি ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং প্রতিটি কচু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করেছেন।
কৃষক জামাল উদ্দিন জানান,তিনি ৬ বছর ধরে কচু ও লতি চাষ করছেন। ত্রিশাল থেকে চারা কিনে আনেন। তিনি বগুড়া জাতের কচু রোপণ করেছেন। তিনি কচু ও লতি চাষ করে সবসময় লাভবান থাকেন। নিজে পরিশ্রম করেন তার সুফলও তিনি পান। তিনি তৃপ্তির হাসি হেঁসে বলেন,আমি লতি চাষ করে এখন স্বাবলম্বী। আমার ৫ জনের সংসারে এখন কোনো অভাব নাই।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, কচু একটি দীর্ঘমেয়াদী লাভজনক ফসল। কৃষক অন্য যেকোন ফসলের চাইতে কচু চাষ করে অল্প খরচে বেশী লাভবান হতে পারেন। এবিষয়ে কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।