খাগড়াছড়িতে কারখানায় তৈরি হচ্ছে জৈব সার
কৃষি বিভাগ
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় প্রথমবারের মতো কারখানায় তৈরি হচ্ছে জৈব সার। দৈনিক ১০ টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এখনও বাজারজাতকরণ শুরু হয়নি। পুরোদমে উৎপাদন শুরু হলে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমবে, এলাকায় নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে- এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা থেকে চার কিলোমিটার দূরে ফাতেমা নগর এলাকায় পাহাড়ের ওপর তৈরি করা হয়েছে জৈব সার কারখানা। বিভিন্ন এলাকায় জৈব সার তৈরি করা হলেও বাণিজ্যিকভাবে এই প্রথম উৎপাদন করছে শিবলী ফার্মস নামে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানে ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক ট্যাংকি রয়েছে। গোবর, লতাপাতাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান মিশিয়ে জৈব সার তৈরি করা হয়। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘খাগড়াছড়ি জৈব সার’।
শিবলী ফার্মস এর ব্যবস্থাপক আমজাত হোসেন মজুমদার বলেন, এখানে গোবর ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া আমাদের ৫০ একরের মত বাগান আছে যার লতাপাতা ও পরিত্যক্ত জিনিসও দিচ্ছি। সঙ্গে আমরা ট্রাইকোডার্মা দিচ্ছি। মাটিত যে কোন জিনিসকে দ্রুত পচিয়ে ফেলে।
দৈনিক ১০ টন সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও পরীক্ষামূলকভাবে তিন টন উৎপাদন করা হচ্ছে। কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের।
সারের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে। অনুমোদন পেলেই শুরু হবে বাজারজাতকরণ।
শিবলী ফামর্স এর সুপারভাইজার আওয়াল হোসেন জানান, শ্রমিক যারা আছে তাদের দেখিয়ে দেই। আর আমাদের বাগানেও এই জৈব সারটা ব্যবহার করি। এটা চাষিদের কাছে গেলে অনেক ভালো হবে।
এই জৈব সার বাজারে আসলে কৃষকদের রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভরশীলতা কমে আসবে বলে আশাবাদ কৃষি বিভাগের।
খাগড়াছড়ির পানছড়ির কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল ইসলাম মজুমদার বলেন, পানছড়ি উপজেলায় এটা বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। আর কৃষি এবং কৃষকের জন্য একটা ভালো সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।