যশোরে অবৈধভাবে আটক বন্যপ্রাণী উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি
যশোরে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী আটকে রাখায় এক ব্যক্তিকে জেল জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে এসব বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার দুপুরে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ ঝাঁপা বাওড়ের ভাসমান সেতুর পাশে ঝুমা চিড়িয়াখানায় খুলনা র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) আল আসাদ মাহফুজুল ইসলামের নেতৃত্বে এই অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানের সময় মণিরামপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভুমি) এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিশু অধিকারি ও খুলনার বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।
আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম জানান, র্যাবের কাছে গোপন খবর ছিল ঝাঁপা বাওড়ের পাশে ঝুমা চিড়িয়াখানায় অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রাণি আটক করে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করছে। এমন খবরের ভিত্তিতে র্যাব সেখানে অভিযান চালায়।
এসিল্যান্ড বিশু অধিকারি বলেন, ঝুমা চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন ধরণের পাখি, সজারু, উল্লুক, মেছোবাঘ, বনবিড়াল, সাফ বানর, হনুমানসহ বিভিন্ন ধরণের বন্যপ্রাণি অবৈধভাবে আটক করে হেফাজতে রেখে তা আবার প্রদর্শন করা হয়েছে। যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ সালে (৩৭)২ ধারায় অপরাধ। এ কারণে প্রতিষ্ঠানের মালিক না থাকায় মালিকের শ্বশুর (ম্যানজের) শামছুদ্দিন সরদারকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়েছে।
বন বিভাগের পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ বলেন, র্যাবের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বন্যপ্রানি বন বিভাগের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের পাখিগুলো এখনই ছেড়ে দিলাম। বাকি প্রাণিদের যে জায়গায় যার স্থান তাদের সেখানে অবমুক্ত করা হবে।