সিরাজগঞ্জে অজানা রোগে মারা যাচ্ছে মুরগি
পোলট্রি
সিরাজগঞ্জে অজানা রোগের সংক্রমণে প্রচুর মুরগি মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মরা মুরগি মাটিতে পুঁতে রাখছেন খামারিরা। আবার কেউ কেউ লোকসানের ভয়ে মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুরগির ভাইরাসের বিষয়টি তাদের অজানা। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হলে জীবিত, মৃত ও অসুস্থ মুরগি পরীক্ষানিরীক্ষা করতে হবে।
সদর উপজেলার শিয়ালকোল গ্রামের খামারি কবির হোসেন বলেন, আমার খামার গত কয়েক দিন আগে এ রোগে আক্রান্ত হয়। এতে বেশ কিছু মুরগি মারা যায়। এ কারণে খামারের অর্ধেক মুরগি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু মুরগি খামারে আছে। এগুলো এন্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু তাতের কোনো পরামর্শই কাজে লাগছে না।
সিরাজগঞ্জ পোলট্রি খামার মালিক সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর পদকপ্রাপ্ত খামারি মাহফুজুর রহমান বলেন, শীতকালীন মুরগির রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। ভ্যাকসিন কাজ করছে না।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পোলট্রি খামারি মালিক সমিতির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রায় দুই মাস আগে খামারে মড়ক দেখা দেয়। এ সময় অনেক খামারে ১৫০-২০০ করে মুরগি মারা যায়। এতে খামারিরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে আতঙ্কগ্রস্ত অনেক খামারি কম দামে মুরগি বিক্রি করে দেয়।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, উপজেলার কোথাও বার্ডফ্লুর প্রকোপ এখনো দেখা যায়নি। তবে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিদের মধ্যে মুরগি মারা যাওয়ার আতঙ্ক বিরাজ করছে। যার জন্য অনেকেই তাড়াহুড়া করে মুরগি বিক্রি করায় দাম কমেছে। অন্যদিকে মুরগির খাদ্য ও বাচ্চার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই মুরগি পালনে আগ্রহ হারাচ্ছে। যে কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার বলেন, খামারগুলোতে সবসময় মনিটরিং করা হচ্ছে। খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মুরগি কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তা জানতে জীবিত, মৃত ও অসুস্থ মুরগিগুলো আমাদের প্রাণী রোগ অনুসন্ধান কেন্দ্রে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে।