ভোলার তারুয়া সৈকতে ভেসে আসলো মৃত ডলফিন
প্রাণ ও প্রকৃতি
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বঙ্গোপসাগরের তারুয়া সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে একটি মৃত ডলফিন।মৃত ডলফিনটি বিপন্নপ্রায় ইরাবতী প্রজাতির বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে ডলফিনটি ভেসে এসে বালুচরে আটকা পড়ে। পরে বন বিভাগের সদস্যরা আজ বুধবার সকালে মৃত ডলফিনটি সৈকতের পাশে বালিচাপা দেয়। তবে কি কারনে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি বনবিভাগ।
ভোলা বনবিভাগের বণ্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেনন, মঙ্গলবার বিকেলে প্রায় অর্ধ গলিত ডলফিনের মৃতদেহটি তারুয়া সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসে। এসময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বন বিভাগে খবর দেয়। পরে বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন।
তিনি আরো বলেন, ডলফিনটি প্রায় সাড়ে চার ফুট লম্বা ইরাবতী প্রজাতির।ডলফিনটির শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরে বন কর্মীদের উপস্থিতিতে মৃত ডলফিনটি সৈকতে বালুচাপা দেয়া হয়। কি কারণে ডলফিনটির মৃত্যু হলো তা অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর ও বন্যপ্রাণী গবেষক সামিউল মেহেসানিন ডলফিনটির মৃতদেহের ছবি দেখে এটিকে ইরাবতী ডলফিন হিসেবে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গভীর সাগরে মাছ শিকাররত জেলেদের জালে আটকে ও নৌযানের প্রোপেলারের আঘাতে প্রায়ই ডলফিনের মৃত্যু হয়। পরে ভাসতে ভাসতে এসব ডলফিনের মৃতদেহ সৈকতের বালুচরে চলে আসে। আর এভাবেই দিন দিন বঙ্গোপসাগরে এর ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনের সংখ্যা কমে আসছে।
তিনি আরও জানান, এ সম্পদ রক্ষা করা না গেলে সামুদ্রিক পরিবেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। তাই ডলফিন রক্ষায় আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।