স্ট্রবেরি চাষে সাফল্য পাচ্ছেন জয়পুরহাটের চাষীরা
কৃষি বিভাগ
জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে বিদেশী ফল স্ট্রবেরি চাষ করে অনেকেই সফলতা পেয়েছেন। বানিজ্যিকভাবে এ ফল চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই বাড়ছে এর আবাদ। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন এ এলাকায় স্ট্রবেরি চাষে ঝুঁকে পড়ছেন চাষীরা।কৃষি বিভাগও স্ট্রবেরি চাষে সহযোগিতা করছে।
স্ট্রবেরি শীত প্রধান অঞ্চলের ফল হলেও গত কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এর চাষ হচ্ছে। আর তাতে সফলতাও মিলছে। জয়পুরহাটেও বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরি চাষ শুরু হয়েছে। এ বছর জেলায় ১২ হেক্টর জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হয়েছে। উৎপাদন হবে কমপক্ষে ১ শ ২০ মেট্রিকটন স্ট্রবেরি।
সম্প্রতি কৃষি অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রবেরির প্রতিটি গাছে ৪০টি ফল ধরে। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ২ হাজার ৭৭৮ কেজি ফলন হয়। প্রতি কেজি স্ট্রবেরির উৎপাদন খরচ প্রায় ৪২ টাকা। আর সেটা বিক্রি করা যায় পাওয়া যায় একশ টাকা। সেই হিসাবে এক বিঘা জমিতে এক লাখ টাকা খরচ করে স্ট্রবেরি চাষ করে অন্তত ৩ লাখ টাকা লাভ হতে পারে। এসব বিবেচনায়, স্ট্রবেরি চাষ খুবই লাভজনক বলে দাবি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের।
কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা স্ট্রবেরি ফল বিক্রি করে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা লাভ হতে পারে বলে জানান তারা। এ কারনে অনেকেই স্ট্রবেরি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
স্ট্রবেরি রসালো ও পুষ্টিকর ফল। রঙ, গন্ধ ও স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় এটি সারাবিশ্বে সমাদৃত। ফলটি রবি মৌসুমে চাষের উপযোগী। দেশের আবহাওয়ায় আশ্বিন মাসই (মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য অক্টোবর) স্ট্রবেরির রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চারা রোপণ করা যায়। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গাছে ফুল আসতে শুরু করে এবং ডিসেম্বরের শেষ ভাগ থেকে পর্যন্ত ফল আহরণ করা যায়।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শফিকুর ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়। অন্যবারের চেয়ে এবার স্ট্রবেরি বেশি চাষ হচ্ছে। এটি একটি সম্ভাবনাময় ফসল, খরচের তুলনায় লাভ বেশি।
জয়পুরহাটে উৎপাদিত স্ট্রবেরি রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। আবাদ আরও বাড়লে বিদেশে রপ্তানি সম্ভব বলেও মনে করছে কৃষি বিভাগ।