ঝিনাইদহে পেঁয়াজের বাজারে দরপতন, লোকসানে কৃষক
এগ্রিবিজনেস
পেঁয়াজ আমদানি ও বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে ঝিনাইদহে কমেছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে মণপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ২০০-৩০০ টাকা। দাম অর্ধেকে নেমে আসায় চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
সরবরাহ বাড়ায় এবং বিদেশ থেকে আমদানির কারণেই দাম কমছে বলে দাবি কৃষকদের। সরবরাহ আরও বাড়লে পেঁয়াজের দাম প্রতি মণে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় নেমে যাওয়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে তবে চাষ হয়েছে ১০ হাজার ৭৯১ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হলেও দরপতনে হতাশ চাষিরা।
শৈলকুপা পেঁয়াজের পাইকারি হাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমণ পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগেও পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল। হঠাৎ এমন দরপতনে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজে পচনও ধরে আবার ফলনও কম। এর ওপর দাম কম হওয়ায় তো আমাদের খরচই উঠছে না।
শৈলকুপা বণিক সমিতির সহসভাপতি মুক্তার মুন্সী জানান, বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। আবার ভারত থেকে আমদানির কারণে পেঁয়াজের দামের এই নিম্নমুখী। কিছুদিন পর পেঁয়াজ পুরোদমে মাঠ থেকে তোলা হবে। তখন আমদানি বন্ধ হলে দাম কিছুটা বাড়বে।