বশেমুরকৃবির উদ্ভাবিত সয়াবিনের নতুন দু’টি জাতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা
কৃষি বিভাগ
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগ উদ্ভাবিত সয়াবিনের দুটি জাত (বিইউ সয়াবিন-১ ও বিইউ সয়াবিন-২) নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের কৃষকের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
রাজকীয় নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহযোগিতায় সলিডারিডাড নেটওয়ার্কের সহায়তায় এই দুটি জাতকে বিনা ও বারী কর্তৃক উদ্ভাবিত অপর তিনটি জাতের সঙ্গে চাষ করা হয়। সলিডারিডাড উল্লেখিত জেলার ৩৫ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য কারিগরি সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
বশেমুরকৃবি উদ্ভাবিত সয়াবিনের জাত দুটি (বিইউ সয়াবিন-১ ও বিইউ সয়াবিন-২) বিনা ও বারী জাতের চেয়ে অধিক ফলনশীল, জীবনকাল কম, খাদ্যমান (প্রোটিন ও তেল) বেশি ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু। বশেমুরকৃবি’র উদ্ভাবিত সয়াবিনের এ জাত দু’টি ইতোমধ্যে দেশের নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার শত শত কৃষকের মাঠে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
বশেমুরকৃবির জনসংযোগ বিভাগের উপ রেজিস্ট্রার মো. মজনু মিয়া জানান, চলতি বছর উল্লেখিত জেলাসমূহে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ব্যাপকভাবে উন্নত সয়াবিন চাষাবাদ করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াসউদ্দীন মিয়া জানান, দীর্ঘদিন গবেষণার পর সয়াবিনের এ দুটি জাত উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। গত রবিবার ও সোমবার তিনি নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে সয়াবিনের মাঠগুলো ঘুরে দেখেছেন। এ সময় তারা মাঠ দিবসের মতবিনিময় সভায়ও অংশগ্রহণ করেন। সভায় কৃষকের অভিজ্ঞতা, সম্ভাবনা ও সমস্যা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
তিনি জানান, চলতি বছর ওই এলাকায় কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে এ জাতের সয়াবিন চাষাবাদ করা হচ্ছে। শুধু সয়াবিন নয়, বশেমুরকৃবি উদ্ভাবিত অন্যান্য ফসল (সবজি, ফল, ধান) ওই এলাকার কৃষকের মাঠে চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সলিডারিডাড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও অন্যান্য সংশ্নিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ করেছেন।
উপাচার্য আরো বলেন, আগামী দিনে সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় সয়াবিনের উন্নত জাতগুলো উপকূলীয় অঞ্চলে এক লাখ চাষির মধ্যে সম্প্রসারণ করবে, যা প্রতি বছর দুই লাখ মে. টন সয়াবিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।