চলতি মাসেই বাজারে দেখা যাবে দিনাজপুরের লিচু
কৃষি বিভাগ
লিচুর রাজ্য হিসেবে খ্যাত উত্তরের জেলা দিনাজপুরের বাগানগুলোয় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে লিচুর গুটিতে রঙ আসতে শুরু করেছে। চলতি মাসেই দিনাজপুরের বাজারে উঠতে শুরু করবে মাদ্রাজি, চায়না- ৩ এবং বোম্বে জাতের লিচু।
লিচুর মৌ-মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে চারদিক। ভালো ফলন পেতে লিচু চাষিরা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে দিনাজপুর সদর, বিরল, চিরিরবন্দর, কাহারোল, বীরগঞ্জ, খানসামা উপজেলায় সিংহভাগ লিচু উৎপাদন হয়। এ মাসেই দিনাজপুরের লিচু বাজারে উঠবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি মৌসুমে জেলার ৫ হাজার ৭৮৭ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিয়মিতই চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর দেশি লিচুর গুটি ফলনে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই স্থানীয় বাজারে মাদ্রাজি লিচু পাওয়া যাবে বলে জানান বাগান মালিকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে দিনাজপুর জেলায় ৫ হাজার ৭৮৭ হেক্টর জমিতে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার লিচুবাগান রয়েছে। এসব বাগানে প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি গাছ রয়েছে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ হাজার মেট্রিক টন।
জেলার বিরলের সফিকুল ইসলাম জানান, একটি বড় গাছে ২০-২৫ হাজার এবং ছোট গাছে ১ থেকে দেড় হাজার লিচু পাওয়া যায়। জ্যৈষ্ঠের পূর্বেই বৈশাখের মাঝামাঝিতে বাজারে উঠবে পাকা টসটসে লিচু।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাসুর রহমান বলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলায় ৫২ হেক্টর জমিতে প্রায় ৬২টি লিচুর বাগান রয়েছে। এর মধ্যে মাদ্রাজি, চায়না- ৩ এবং বোম্বে প্রধান লিচুর জাত। জুন মাসের ১ম সপ্তাহেই লিচুর জাতগুলো পরিপক্ক হয়ে বাজারে আসবে। চাষীরা এবার লিচু বিক্রয় করে লাভবান হবেন বলে তিনি আশাবাদী।
তিনি আরও বলেন, অপরিপক্ক লিচু যাতে বাজারে না আসে তার জন্য কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।