শার্শায় চাহিদার চেয়ে বেশি মাছ উৎপন্ন
মৎস্য
যশোরের শার্শা উপজেলায় চাহিদার তুলনায় বেশি মাছ উৎপাদন হচ্ছে বলে মৎস্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে মাছের পোনা, খাবার ও ওষুধের দাম বৃদ্ধি এবং আড়তদারদের কাছ থেকে মাছের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন মাছ চাষিরা।
মৎস খাবারের দাম কমিয়ে আনার পাশাপাশি মাছ বিক্রিতে ‘হয়রানি’ বন্ধে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
শার্শা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত মাছ পাঠানো হয় অন্যান্য এলাকায়।
মাছ চাষ করে এ উপজেলায় সাড়ে পাঁচ হাজার পরিবার সচ্ছল হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “উপজেলার ১৫টি বাঁওড়, ২৭১টি ঘের, ১০টি বিল ও সাত হাজার ১৬৯টি পুকুর মিলে মোট সাত হাজার ৪১৮ হেক্টর জলাশয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে এই মাছ চাষ করা হচ্ছে।
এখানে বছরে ২৬ হাজার ৭৪২ মেট্রিকটন মাছ উৎপাদন করা হয়। কিন্তু স্থানীয় চাহিদা মাত্র সাত হাজার ৫৭২ মেট্রিকটন।”
মাছ চাষ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, পরিবহন ও বিপণন বিভাগে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানান এ মৎস কর্মকর্তা।
শার্শায় প্রধানত দেশি রুই-কাতলার পাশাপাশি দ্রুত বর্ধনশীল সিলভার কার্প, মিনার কার্প, জাপানি রুই, গ্লাস কার্প, মাগুর, কই, পাঙ্গাস, নাইলোটিকা, তেলাপিয়া ও বাটা মাছ চাষ হয়। তবে ইদানীং চাষিরা পাবদা, শিং, মাগুর ও গুলশা মাছের চাষে লাভ বেশি হওয়ায় সেদিকে ঝুঁকছেন।