সূর্যমুখী চাষে লাভের আশা খুলনার কৃষকদের
কৃষি বিভাগ
খুলনার কয়রা উপজেলায় লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখী চাষে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন কৃষক কালিপদ সরকার। তিনি আগের বছর ১৬ শতাংশ পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে সফল হয়েছেন। সূর্যমুখী চাষে খরচ কম ও পরিশ্রম কম লাগে। তাই এ বছর তিনি ২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করছেন।
সুত্রে জানা যায়, খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদি ইউনিয়নের পাটুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক কলিপদ সরকার। এবার সবচেয়ে বেশি সূর্যমুখী চাষ হয়েছে আমাদি ইউনিয়নে। ইউনিয়নটিতে গত বছর ৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছিল। আর এবার ২৫ হেক্টর জমিতে। এবার সূর্যমুখী চাষে কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন।
গ্রামের কৃষক চণ্ডীপদ সরকার বলেন, গত বছর ২ বিঘা জমি চাষাবাদে আমার খরচ হয়িছিল ২৫ হাজার টাকা। সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করিছিলাম ৭০ হাজার টাকা। লাভ হয়িছে ৪৫ হাজার টাকার মতো। তাই এবারও সূর্যমুখীর চাষ করিছি।’
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের খুলনা কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হারুনর রশীদ বলেন, এ উপজেলায় জমিতে নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোনা পানি প্রবেশ করার কারনে আমন ধান ছাড়া কোন সফল উৎপাদন হয় না। উপকূলের এসব লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখীর উৎপাদন বাড়াতে পারলে একদিকে যেমন অনাবাদি জমির পরিমাণ কমবে, অন্যদিকে দেশে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা অনেকাংশে কমে যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস বলেন, এক মণ সূর্যমুখীর বীজ থেকে ১৮-২০ কেজি তেল উৎপন্ন হয়। প্রতি কেজি তেল বিক্রি হয় ৪০০-৪৫০ টাকা। বর্তমানে সূর্যমুখী তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে এ ফসল উৎপাদনের আগ্রহ বাড়ছে।