বাকৃবিতে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হলো ‘পটলাক পার্টি’
ক্যাম্পাস
কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: এমনিতেই বাঙালির ভোজন রসিক হিসাবে পরিচিতি বলার অপেক্ষা রাখে না। এত দিন আমরা জন্মদিন, ঈদ, পুজো পার্বণ, বিবাহবার্ষিকী, নতুন চাকরি, প্রোমোশন— খাওয়া ছাড়া উদ্যাপন বৃথা ছিলো । আজ এক নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলাম আমরা । কৃষি অথনীতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের তরুণ মেধাবী শিক্ষক প্রফেসর ডক্টর এ এইচ এম. সাইফুল ইসলাম এর ফোনে পাওয়া দাওয়াত থেকেও অনুমান করতে পারিনি -অনুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্যটা ঠিক কেমন হতে পারে ? অনুষ্ঠান স্থল কৃষি অথনীতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের নীচতলা উন্মুক্ত ছাদের নীচে এসে জানলাম এটি বিশেষ রকমের খাওয়ার আয়োজন যা সকলে মিলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন । যার নাম ‘পটলাক পার্টি’। নিমিষেই বুঝে গেলাম খাওয়া তো হবেই, অন্য রকম আড্ডায় জমে উঠবে পার্টির মেজাজ ও অনুষদীয় ছাদবিহীন মুক্ত ফ্লোর ।ইতোমধ্যে আরও জানলাম আজকের পটলাক পার্টির সমস্ত সদস্য পার্টিতে কোন না কোন খাবার নিয়ে আসবেন এবং এটাই হচ্ছে এ আয়োজনের প্রথম ও অন্যতম শর্ত এবং সেই খাবার হতে হবে নিজের হাতে বানানো ।
এতসব মেনু ছিলো যে আমার মনে হচ্ছিল কেউই আগে থেকে অপরের মেনু বিষয়ে জানতোই না ।এটা পার্টির দারুণ মজার বিষয় । খাবারের মেনুর সারপ্রাইজটাই আসল মজার বিষয় – এমনটাই জানা গেলো পার্টির উদ্যোক্তা প্রফেসর ডক্টর এ এইচ এম. সাইফুল ইসলাম এর নিকট থেকে ।
বাকৃবির কৃষি অথনীতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ৩য় বর্ষের ৪৬জন শিক্ষার্থী ও তাদের কোর্স টিচারগণ তাদের ‘ফুড এন্ড নিউট্রেশন ইকোনমিক্স ‘কোর্সের অংশ হিসাবে তারা ‘পটলাক পার্টি’ আয়োজন করেছে। এতে তারা প্রায় ৪০ পদের খাবার পরিবেশন করে একে অপরকে আপ্যায়িত করেছে । কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডক্টর হাসনীন জাহানের সভাপতিত্বে এবং কোর্স টিচার প্রফেসর ডক্টর এ এইচ এম. সাইফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে পটলাক পাটি উদ্বোধন করেন অনুষদীয় ডিন প্রফেসর ডক্টর খন্দকার মো মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডক্টর মো.সাইদুর রহমান, অপর কোর্স টিচার প্রফেসর ডক্টর ফকির আজমল হুদা মিঠু , জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু , শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান সোহাগ, জেমিমা ,সুমাইয়া সুলতানা।
এমন আয়োজনে অংশ নিয়ে শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা বলছে, কেবল বিভিন্ন পদের খাবার ও খাবারের পুষ্টিগুণ সস্পর্কে জানাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ডিং বাড়ানো,পরস্পর বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া আর নিজেদের মধ্যে সম্প্রীতির আবহ তৈরিই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। আর প্রথমবারের মতো এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে প্রত্যেকেই দারুণ খুশি।