যমুনার চরে জৈব পদ্ধতিতে বাড়ছে চাষাবাদ
কৃষি বিভাগ
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর চরগুলোতে এ মৌসুমে আবাদ করা হয়েছে মরিচ, মশুর, বুট, খেসারি কালাই, ভুট্টা, বেগুন, মিষ্টি আলু, তিল, তিশি, কালো জিরা, চিনা বাদামসহ নানা ফসল। চারদিকে দেখা মিলে যেন সবুজের সমারোহ।
বৈশাখী চরের ভুলু মন্ডল জানান, চর ভেঙে যাওয়ার পর এখন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পশ্চিমপাড়ে বানিয়াজান গ্রামে বাড়ি করেছি। বর্ষাকালে সব পানিতে একাকার থাকলেও গ্রীষ্মে জেগে ওঠে জমি। চর বলতে শুধুই বালু নয়, পলিও পড়ে। সেই পলিমাটিতে ফসলের বীজ বপন করলেই অনেক ফসল পাওয়া যায়। সার, সেচ দিতে হয় না।তিন বিঘা জমিতে বাদাম করেছেন। এক বিঘার বাদাম জমি থেকে উঠিয়েছেন। সার, কীটনাশক, পানি ছাড়াই পেয়েছেন আট মণ।
রাধানগর চরের লিয়াকত আলী জানান, বন্যায় ফসল নষ্ট হয়। তবু একটি ফসল ঘরে উঠাতে পারলেই সারা বছরের খাবার হয়। চরের লোকের এক ফসলেই সারা বছর চলে যায়। এখন চরে বাদাম, মশুর, খেসারি, মরিচ, মিষ্টি আলু, কালো জিরা, তিল, তিশি, ভুট্টার মৌসুম চলছে। ফলনও হয়েছে প্রচুর।
নিউ সারিয়াকান্দি চরের আব্দুল মালেক, আব্দুল আজিজ জানান, চরের সবজি থেকে শুরু করে সব ফসলের স্বাদই আলাদা। সার-কীটনাশক ছাড়া চাষ করা হয় বলে এলাকার লোকজন যারা শহরে থাকে তারা এখান থেকে চাল-ডালসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যায়।
ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক বলেন, সার, কীটনাশক ছাড়া স্বল্প খরচে কৃষকরা চরে অর্গানিক (জৈব) ফসল উৎপাদন করে। ফলনও হয় প্রচুর। চরের মানুষ এসব অর্গানিক ফসল, সবজি খাওয়ায় তাদের শরীর ভাল থাকে। রোগব্যাধি কম। স্বাদও ভাল। তাই এর চাহিদাও অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, চরে ঘাস, খড় খাওয়া গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির রোগও কম হয়। এখন চরেই শুধু অর্গানিক ফসল উৎপাদন হচ্ছে বলেও তিনি জানান।