বৃষ্টি: হালদায় মাছ ধরা জেলেদের কেটেছে শঙ্কা
মৎস্য
এপ্রিল ও মে মাসে হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার সময় হয়। কিন্তু প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শুরুতে বৃষ্টির দেখা পেলেও এ বছর সেটি না পেয়ে শঙ্কিত ছিল জেলেরা। তবে এবার শঙ্কা কাটিয়ে শনিবারের (১৭ এপ্রিল) বৃষ্টিতে হালদা পাড়ের মানুষের মনে ফিরেছে স্বস্তি।
বাংলা বছরের চৈত্র-বৈশাখ মাসে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে এবং নদীতে স্রোত বৃদ্ধি পেলে মা মাছ ডিম ছাড়ে। গত বছর ২২ মে হালদায় ডিম ছেড়েছিল মা মাছ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া জানান, মার্চ মাসে বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল। এপ্রিলের মধ্যে ভরা পূর্ণিমায় যদি বৃষ্টিপাত হতো তখন মা মাছ ডিম ছাড়তে পাড়তো। একটু বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলাম। বৃষ্টি হওয়াতে পরিবেশটা অনুকূলে আসার প্রথম পর্যায় শুরু হলো। এখন যদি পরবর্তী অমাবস্যা আর পূর্ণিমায় বৃষ্টি হয় তাহলে মাছ ডিম ছাড়বে।
তিনি আরও জানান, হালদার সার্বিক পরিস্থিতি ২০ বছরের মধ্যে সবদিক দিয়ে ইতিবাচক। দূষণের পরিমাণ কম, মা মাছ সংরক্ষণে ছিল, প্রচুর পরিমাণে জাল উদ্ধার হয়েছে, এলাকার মানুষ অনেক বেশি সচেতন। একটি মাত্র নেতিবাচক বিষয়, সেটা হলো ‘প্রকৃতি’। প্রকৃতি এখনো আমাদের অনুকূলে নেই।
ডিম সংগ্রহকারী জেলেরা জানান, হালদায় প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষ দিকে ও মে মাসে মা মাছ ডিম ছাড়ে। প্রতিবছর আমরা এপ্রিল মাসের বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকি। এখন সেটি হয়েছে, আমরা একটু হলেও স্বস্তি অনুভব করছি।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন জানান, হালদা নদীকে রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ছিল। তাই আজ হালদা এ পর্যায়ে এসেছে। এতদিন বৃষ্টি না হওয়াতে আমরা দুশ্চিতায় ছিলাম। শনিবার সকালের বৃষ্টি হওয়াতে কিছুটা স্বস্তি এসেছে বলে তিনি জানান।