নেশা করতে বাঁধা দেয়ায় গরুর বাছুরকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা
প্রাণিসম্পদ
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার উত্তর হাইদগাঁও বদুর বাপের বাড়িতে গোয়াল ঘরে নেশা করতে বাঁধা দেয়ায় শুক্রবার রাতের আধাঁরে গরু বাছুরকে পা বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার পটিয়া থানায় একই এলাকার খায়ের আহমদের পুত্র মো: আরমান‘কে প্রধান আসামী করে এ ঘটনায় অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন গরুর মালিক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, প্রায় একমাস পূর্বে মহিউদ্দিনের গোয়াল ঘরে বসে স্থানীয় মো: আরমানসহ কয়েকজন যুবক নেশা করছিল। এসময় মহিউদ্দিনের মা ফাতেমা বেগম তাদের নেশারত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাদেরকে গোয়াল ঘরে নেশা করায় ভৎসনা করা হয়। এক পর্যায়ে তারা চলে যাওয়ার সময় গরু মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার গভীর রাতে গোয়াল ঘরে ঢুকে ৩৫/৪০ হাজার টাকা দামের একটি গরুর বাছুরকে মেরে পা ভেঙ্গে ও পরে পা বেঁধে পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে শনিবার বিভিন্ন জায়গায় খুঁজাখুজির এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে পা বাঁধা অবস্থায় গরুর বাছুরটির মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
গরুর মালিক মহিউদ্দিন জানান, গোয়াল ঘরে বসে নেশা করতে বাঁধা দেয়ায় আমার গরু বাছুরটিকে পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নেশাখোর আরমান। আমি এর উপযুক্ত শাস্তি দাবী করছি। অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির দাবী জানায়।
পটিয়া থানার এসআই মোরশেদুল আলম জানান, অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে গরু’র বাছুর মারার সত্যতা পেয়েছি। তবে কে বা কারা মেরেছে তা তদন্ত করে বের করে অপরাধী আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।